বুয়েনস আয়ার্স: দীর্ঘ যাত্রাপথ। দেশে ফিরে রাজকীয় অভ্যর্থনা। সবকিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হল বিশ্বজয়ী আর্জেন্তিনা শিবিরকে। কথা ছিল হুডখোলা বাসে করে বুয়েনস আয়ার্সের রাজপথ পরিক্রমা করবেন মেসিরা। কিন্তু আবেগের বিস্ফোরণের সামনে তা আর করা গেল না। সাধারণ মানুষের মেসি, দি মারিয়াকে ছােঁয়ার আকুল আর্তি, পাগলামির সামনে পরিকল্পনা বদল করতেই হল।
ঠিক কী হয়েছিল?
সোমবার ভোররাতে দেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন মেসিরা। তাঁদের দেখতে বিমানবন্দরের বাইরেই অগণিত সমর্থক, ভক্তকুলের ভিড় ছিল। মঙ্গলবার বুয়েনস আয়ার্সের বিখ্যাত সৌধ ওবেলিসকের সামনে হুডখোলা বাসে করে যাওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ীদের। কিন্তু রাস্তায় বিপুল সমর্থকদের ভিড় যা সামলানোর কোনও পরিস্থিতিই ছিল না। অনেক মানুষ টিম বাসে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করেন, অনেকে আবার উড়ালপুলের ধার ধরে বাসের পেছনে ছুটতে থাকেন। জানা গিয়েছে অনেকেই ব্রিজের ধার থেকে বাসে ওঠার ও ফুটবলারদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বুঝে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। নামানো হয় হেলিকপ্টার।
বাস থেকে সরাসরি সেই হেলিকপ্টারে উঠে ওবেলিক্সের উদ্দেশে রওনা দেন মেসিরা। এতেই রাস্তায় জড়ো হওয়া সমর্থকরা এতে খেপে যান। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় তাঁদের। যদিও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আর্জেন্তিনা ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়ো তাপিয়া ট্যুইট করেন, ''ওবেলিস্কে গিয়ে সবাইকে অভিবাদন জানানো হয়তো সম্ভব হবে না। সমস্ত ফুটবলারের প্রতিনিধি হিসাবে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।''
উল্লেখ্য, ৩৬ বছর পর ফের বিশ্বজয় করেছেন আর্জেন্তিনা। দেশের ফুটবল ইতিহাসে তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে ট্রফি জিতেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্তিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্ডেজ মঙ্গলবার জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। এদিন দেশের সব স্কুল-কলেজ-অফিস ছুটি ছিল। ওবেলিক্স মনুমেন্টের নিচে সংবর্ধনার পর আর্জেন্তিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মেসিদের সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর্জেন্তিনা দলের সদস্যদের পরিবার আগেই দেশে পৌঁছে গিয়েছিল।