দোহা: কেরিয়ারের সবরকম ওঠাপড়ায় পাশে ছিলেন তিনি। সাফল্য, ব্যর্থতায় লিওনেল মেসির (Lionel Messi) সবচেয়ে কাছের সঙ্গী তিনি। অ্যান্তোনেলা রোকুজো (Antonela roccuzzo)। আর্জেন্তাইন ফুটবল সুপারস্টারের ভালবাসার মানুষ। গতকাল ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্তিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। জয়ের মধ্যমণি ছিলেন অবশ্যই লিওনেল মেসি। আর সম্রাটের কেরিয়ারের সবচেয়ে স্বর্ণোজ্জ্বল মুহূর্তে তাঁর সুন্দরী পাশে থাকবেন না, তা কি হয় নাকি।
ট্রফি জয়ের পর অ্যান্তোনেলা ও সন্তানদের সঙ্গে ট্রফি হাতে ফ্রেমবন্দি হলেন লিওনেল। নিজের ভালবাসার মানুষের সাফল্য়ের দিনে তাঁকে নিয়ে আবগঘন বার্তাও দিলেন অ্য়ান্তোনেলা। তিনি লেখেন, ''বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন। আমি জানি না কীভাবে শুরু করা উচিত। ভীষণ গর্ব অনুভব করছি তোমার জন্য লিওনেল মেসি। ধন্য়বাদ আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য যে কখনও হার মানা উচিত নয়। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাওয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত এটা সত্যি হল। তুমি এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আমি জানি এই মুহূর্তটার সঙ্গী হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করছিলে তুমি। অবশেষে তুমি ও আর্জেন্তিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।''
পরের বিশ্বকাপ হয়ত মেসি খেলবেন না, কিন্তু এখনই যে অবসর নিচ্ছেন না তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন এলএমটেনও। গতকাল ম্যাচের পর মেসি বলেন, ''নিঃসন্দেহে আমি এটাই চেয়েছিলাম যে বিশ্বকাপ জিতে শেষ করতে। এর থেকে বেশি আর কিই বা পেতে পারি আমি। আমি ফুটবল খুব ভালবাসি। কী করতে পারি আর। দেশের জার্সিতে খেলাটা সবসময় উপভোগ করি। এই দলটার সঙ্গে থাকা সবসময় উপভোগ করি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে চাই।''
এই নিয়ে তিনবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশ পরেরবার ফাইনালে হারল। ফ্রান্স ২০১৮-র পর ২০২২ সালে ফাইনালে হারল। ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১৯৯০ সালে ফাইনালে হেরেছিল আর্জেন্তিনা। ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর ১৯৯৮ সালে ফাইনালে হেরেছিল ব্রাজিল।