নয়াদিল্লি: তিনিই গৌতম গম্ভীরের কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছিলেন বলে আগেই দাবি করেছিলেন পাকিস্তানের সাত ফুট উচ্চতার বাঁ হাতি পেসার মহম্মদ ইরফান। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে তিনি একধাপ এগিয়ে দাবি করেছেন, ২০১২ সালে ভারত-পাকিস্তানের সীমিত ওভারের সিরিজে তাঁর বল দেখতে পাচ্ছিলেন না গম্ভীর।

২০১২ সালে ভারত সফরে এসেছিল পাকিস্তান। গম্ভীর, বীরেন্দ্র সহবাগ, বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, যুবরাজ সিংহ সমৃদ্ধ ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইনআপ যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতীয় দল সিরিজ জিততে পারেনি। টি-২০ সিরিজের ফল হয় ১-১। একদিনের সিরিজ ২-১ ফলে জিতে নেয় পাকিস্তান। পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে দু’বার ইরফানের শিকার হন গম্ভীর। শুধু উচ্চতাই নয়, পারফরম্যান্সের মাধ্যমেও সেই সিরিজে নজর কেড়ে নেন পাকিস্তানের এই পেসার। নতুন বলে তাঁর পারফরম্যান্স বেশ ভাল ছিল।

গত বছর পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরফান দাবি করেছিলেন, তাঁর জন্যই গম্ভীরের কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। এবার অন্য একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘যখনই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়, যে ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারে না, সে ‘জিরো’ হয়ে যায় আর যে ভাল পারফরম্যান্স দেখায় সে ‘হিরো’ হয়ে যায়। আমি যেভাবে গৌতম গম্ভীরকে বোলিং করছিলাম, ও বল দেখতে পাচ্ছিল না। ও যেভাবে আমার বাউন্সার খেলছিল, সেটা দেখে সবাই বলছিল, ওকে দেখে গৌতম গম্ভীর মনে হচ্ছে না। আমার উচ্চতা ও বোলিংয়ের এত বেশি চাপ ছিল, তাতে আমার মনে হয়েছিল, সেই কারণেই ও আর দলে ফিরতে পারেনি। ও দল থেকে বাদ পড়ে যায়। এরপর ও মাত্র কয়েকটি ম্যাচ খেলে এবং ভাল খেলতে পারেনি। ২০১২ সালেই ও আমার বিরুদ্ধে শেষবার খেলে। তাই আমিই ওর কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছি বলে মনে হয়েছে।’

ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন গম্ভীর। তিনি ৫৮ টেস্টে ৪১.৮৫ গড়ে ৪,১৫৪ রান করেন। ১৪৭টি একদিনের আন্তর্জাতিকে তাঁর রান ৫,২৩৮। ৩৭টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে তাঁর রান ৯৩২। ২০০৭ সালে টি-২০ এবং ২০১১ সালে একদিনের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন গম্ভীর।