নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের ৭ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার বাঁ হাতি পেসার মহম্মদ ইরফানের বলের গতির বিষয়ে বিরাট কোহলিরা সন্দিহান ছিলেন! তাঁদের বিভ্রান্ত করেছিলেন কোচেরা। তাঁরা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বুঝিয়েছিলেন, মিডিয়াম পেস বোলিং করেন ইরফান। শুধু তিনি লম্বা বলে বাউন্স হয়তো একটু বেশি হয়। পরে সামনে থেকে বল করতে দেখে বিরাটদের ভুল ভেঙেছিল। বিরাট নিজেই সে কথা বলেছিলেন।

একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরফান জানিয়েছেন, ‘আমি যখন প্রথমবার ভারত সফরে যাই, ভারতীয় খেলোয়াড়রা আমাদের বলছিল, ওদের কোচ আর সাপোর্ট স্টাফরা বলেছে, আমি ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করি। এর চেয়ে বেশি গতিতে বল করতে পারি না আমি। এমনকী বিরাট কোহলিও আমাকে বলে, ওর কোচ বলেছে, আমি ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৩৫ কিমি গতিতে বল করি। আমার উচ্চতা বেশি বলে একটু বেশি বাউন্স আদায় করে নিতে পারব। তবে ও সহজেই আমার বল খেলে দিতে পারবে।’

ইরফান আরও জানিয়েছেন, ‘অনুশীলনের সময় আমাকে দ্রুতগতিতে বোলিং করতে দেখে বিরাট হতবাক হয়ে যায়। ও প্যাড পরে বসেছিল। ও দেখে, আমি প্রথম বল করলাম ঘণ্টায় ১৪৫-১৪৬ কিমিতে। ওর তখন মনে হয়, স্পিড গানে হয়তো কোনও সমস্যা আছে। আমি এরপর যখন পরের বল করি ১৪৭ কিমিতে, তখন ও পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা কোচকে প্রশ্ন করে, তিনি মিথ্যা বলছেন, না স্পিড গানে কোনও সমস্যা আছে? আমাকে সে কথা বলেও বিরাট। পরের বলের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৮ কিমি। সেটা দেখে ও কোচকে ভর্ৎসনা করে বলে, যে বোলার ঘণ্টায় ১৫০ কিমিতে বল করছে, সে কীরকম মিডিয়াম ফাস্ট বোলার!’

পাকিস্তানে বরাবরই পেসারদের রমরমা। ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতার থেকে শুরু করে আজকের মহম্মদ আব্বাস পর্যন্ত একের পর এক দুর্দান্ত পেসার উঠে এসেছেন পাকিস্তান থেকে। তাঁদের অনেকেই বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের কাছে ত্রাস ছিলেন। দীর্ঘদেহী ইরফান এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ৬০টি একদিনের ম্যাচ, চারটি টেস্ট ম্যাচ এবং ২২টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। তিনি উচ্চতার জন্য যতটা নজর কেড়ে নেন, সেই তুলনায় পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি।