হায়দরাবাদ: তিনি ভারতীয় দলের সম্পদ হয়ে উঠেছেন। এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর স্বপ্নের স্পেল এখনও লোকের মুখে মুখে ফেরে। বিশ্বকাপেও নজর কেড়ে নিয়েছেন বল হাতে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও নিজের দক্ষতার প্রতি সুবিচার করেছেন। দলের প্রয়োজনে উইকেট তুলেছেন।
তিনি, মহম্মদ সিরাজ় (Mohammed Siraj)। হায়দরাবাদের দরিদ্র পরিবার থেকে তাঁর জাতীয় দলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্প সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো। বুধবার, ১৩ মার্চ ৩০ বছর পূর্ণ করলেন ডানহাতি জোরে বোলার। দিনভর শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসলেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে আইপিএলে তাঁর দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB), শুভেচ্ছাবার্তায় ভরাল সিরাজ়কে।
আর জন্মদিনে নিজের জীবনের অজানা কিছু কাহিনি শোনালেন হায়দরাবাদের পেসার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অনেক গল্প শেয়ার করে নিয়েছেন সিরাজ়। পরে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেই ভিডিওতে সিরাজকে বলতে শোনা গিয়েছে, '২০১৯-২০ সালে নিজেকে বলেছিলাম, আর একটা বছর দিচ্ছি, তার পরে খেলা ছেড়ে দেব।' তবে সেখান থেকেই বদলে যায় সিরাজ়ের কেরিয়ার। জাতীয় দলে, আইপিএলেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন ডানহাতি পেসার।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পোস্ট করা ভিডিওতে সিরাজ় বলেছেন, 'হায়দরাবাদে নামলে আমার সবার আগে মনে হয়, কখন বাড়ি যাব। বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকি না কেন, বাড়ির মতো শান্তি কোথাও পাই না।'
অভাব ছোট থেকে ছিল সঙ্গী। সিরাজ়ের বাবা অটোরিকশা চালাতেন। সিরাজ় জানিয়েছেন, রুটি বানাতে গিয়ে হাতও পুড়িয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে সিরাজ় বলেছেন, 'আমি এক সময় ক্যাটারিংও করেছি। পরিবারের সদস্যরা আমাকে বলতেন, পড়াশোনা কর। কিন্তু ক্রিকেট খেলতে ভালবাসতাম। ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। বাবাই সংসারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। ক্যাটারিং করে একশো-দুশো টাকা উপার্জন করতাম। তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতাম। বাড়িতে একশো বা দেড়শো টাকা দিতাম। পঞ্চাশ টাকা নিজের জন্য রেখে দিতাম।' আইপিএলে আরসিবি-র জার্সিতে খেলবেন সিরাজ়।
আরও পড়ুন: মনে হচ্ছে ফের অভিষেক হবে, দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে যোগ দিয়ে বলছেন পন্থ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে