মুম্বই: তাদের বিরুদ্ধে জয়ের স্বাদ কেমন, তা এখনও বোঝা হয়ে ওঠেনি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে যতবার মুম্বই সিটি এফসি-র মুখোমুখি হয়েছে তারা, ততবার জয়ের সাধ নিয়ে মাঠে নামলেও সাধ্যে কুলোয়নি। এ বারও কি ছবিটা একই রকম থাকবে? 


তিন দিন আগেই গতবারের লিগশিল্ডজয়ীদের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের প্রতিবেশী ইস্টবেঙ্গল এফসি। যদিও সাগরপাড়ের দলের বিরুদ্ধে এমন ড্র আগেও করেছে মোহনবাগান। ২০২২-এ যে দু’বার আইএসএল যুদ্ধে মুখোমুখি হয় এই দুই বাহিনী, দু’বারই অমীমাংসিত থাকে তাদের দ্বৈরথ। কিন্তু ফুটবল যেখানে এক ধর্ম, সেই বাংলার সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সাগরপাড়ের প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হলেই কেন বারবার বিফল মনোরথে মাঠ ছাড়ে, এ প্রশ্নের উত্তর যেন রহস্যের চাদরে ঢাকা। 


বুধবার ফের সেই ফুটবল-যুদ্ধ মুম্বই ফুটবল এরিনায়, যেখানে আজ পর্যন্ত একবারই মুখোমুখি হয়েছে দুই দল এবং গত মরশুমের সেই ম্যাচ ২-২ ড্র হয়। তবে গতবার যে রকম পরিস্থিতিতে এই ম্যাচ ড্র হয়, এ বার কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা হলেও অন্যরকম। সদ্য কোচ বদলেছে মুম্বই সিটি এফসি। সফল কোচ ডেস বাকিংহামের জায়গায় এসেছেন চেক কোচ পিটার ক্রাতকি। তিনি আসার পর মুম্বই সিটি এফ সি যেমন দুটি ম্যাচের একটিতেও জেতেনি, তেমনই একটিও গোল করেনি এবং একটি গোলও খায়নি। কেমন যেন থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে গোটা দলটা। 


এর মধ্যে একটা অশনি সঙ্কেতও দেখা যাচ্ছে। এই থমকে যাওয়া থেকে পতনের শুরু হবে না তো? নাকি এখান থেকে এক নতুন সূচনা করবে গতবারের লিগজয়ীরা? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে যতটা না আগ্রহী সবুজ-মেরুন বাহিনী, তার চেয়েও তারা বেশি আগ্রহী মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে তাদের জয়হীন দৌড় শেষ করা নিয়ে। 


কিন্তু সেও যে কঠিন কাজ, তা খুব ভাল করেই জানেন হুয়ান ফেরান্দোর দলের ফুটবলাররা। কারণ, তাদের শিবিরের অবস্থাও যে ভাল, তাও বলা যায় না। চোট-আঘাতে জর্জরিত শিবিরে মরশুমের শুরুতেই ছিটকে গিয়েছেন দুই বিভাগের দুই নির্ভরযোগ্য তারকা। মরশুমের শুরুতেই ছিটকে গিয়েছেন আশিক কুরুনিয়ান। আশিকের পর চোট পেয়ে যান আনোয়ার আলি। তাঁরও শীঘ্রই মাঠে ফেরা প্রায় অসম্ভব। বাকিরাও অনেকে সম্প্রতি চোট পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা ক্রমশ মাঠে ফিরতে শুরু করেছেন। 


গত ম্যাচে দলের দুই ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স পেট্রাটস ও মনবীর সিং মাঠে ফেরেন। যদিও রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে নামান তাঁরা। মাঠে বেশিক্ষণ থাকতেও পারেননি। সহাল আব্দুল সামাদ ও অনিরুদ্ধ থাপা চোট পেয়েছিলেন ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে। তাঁরাও অনুশীলনে ফিরেছেন। বুধবার মাঠে নামতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তাই আশার সঞ্চার হয়েছে মোহনবাগান শিবিরে।