আবীর দত্ত, কলকাতা: মরক্কো (Morocco Football Team) যদি পারে তাহলে ভারতও পারবে। কলকাতা তেই তো প্রতিভা অনেক। মরক্কো এবার বিশ্বকাপের (FIFA WC 2022) কালো ঘোড়া বা 'ডার্ক হর্স', মতামত মোহনবাগানে কোচিং করানো করিম বেঞ্চারিফাপ (karim bencherifa)। মরক্কো থেকে এবিপি আনন্দকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন মরক্কোর সাফল্যের চারটি কারণ।
প্রথম কারণ
মরক্কোতে দারুন সব ফুটবলাররা আছেন যারা বিশ্বমানের ফুটবল উপহার দিচ্ছেন। তাদের নিজেদের জায়গায় খেলার সময় তারা ভাবছেন না যে প্রতিপক্ষ কে। তারা নিজেদের সেরাটা উজার করে দিচ্ছেন। জিয়েখ, হাকিমির মতো খেলোয়াড়রা কাজটা বাকিদের জন্যও সহজ করে দিচ্ছে। হাকিমি ফ্রান্সের পিএসজিতে মেসি. নেমার, রামোস, মারকুইনাস, এমবাপেদের সঙ্গে খেলে। তিনি মরক্কো দলের রাইট ব্যাকে স্তম্ভ হয়ে উঠেছে। জিয়েখ চেলসিতে খেলে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের স্পিড স্কিল কে রপ্ত করে নিয়েছে। ক্লাবস্তরের সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে জাতীয় দলেও।
দ্বিতীয় কারণ
ফিটনেসের বিষয়ে মরক্কো দলে কোনও ঘাটতি নেই। কেউ আহত বা চোট পেলে একদমই ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। ফিটনেস প্রমাণ করার পরেই অনুশীলনে নামা এবং সেখান থেকে ফুটবলাররা ম্যাচ খেলার সুযোগ পান।
তৃতীয় কারণ
পরিকল্পনা। মরক্কো দলের কাছে সবসময় একাধিক পরিকল্পনা মজুত রয়েছে। বড় দলের বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার ধারণাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে এই দল। সবার বিরুদ্ধেই মাঝমাঠের দখল রেখে মরক্কো মিডফিল্ডার, উইঙ্গাররা বক্সে ঢুকে শট মারছে। আবার প্রয়োজনে নিজেদের রক্ষণে সহায়তাও করছে।
চতুর্থ কারণ
টিম স্পিরিট। দলের মধ্যে একটা জয়ের খিদে দেখা যাচ্ছে। ভালো কিছু করার তাগিদ রয়েছে। পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সেটা ফুটেও উঠছে। বড়ো দলকেও মরক্কোর এই জয়ের খিদেই ভোগাতে পারে।
করিম বেঞ্চারিফা মোহনবাগানকে ফেডারেশন কাপ জিতিয়েছিলেন। তিনি একসময় মরক্কো অনুর্ধ্ব ২৩ জাতীয় দলের সহকারী কোচও নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি বলছেন, 'মরক্কো ফুটবলের দেশ। সেখানে ফুটবল নিয়ে মানুষ ভীষণ আগ্রহী। ভারতেও সম্ভাবনা প্রবল। কলকাতাতে ভীষণ ভালো ফুটবলাররা আছে। যাদের চেষ্টা আছে।'
মরক্কোর বিরুদ্ধে বড় দলগুলোকে খুব বেগ পেতে হবে বলে তিনি মনে করছেন। আগের বিশ্বকাপের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া আর তৃতীয় হওয়া বেলজিয়ামকে চাপে ফেলেছে মরক্কো। এই বিশ্বকাপে তারা বেলজিয়ামকে হারিয়েছে, ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করেছে। শুধু তাই নয়, কানাডা ম্যাচেও দাপিয়ে খেলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এর আগে ১৯৮৬ সালে শেষবার রাউন্ড অফ ১৬-এ পৌঁছেছিল মরক্কো, তারপর এই বিশ্বকাপেই ৩৬ বছর পর নক আউটে পৌঁছল তাঁরা।
আরও পড়ুন: গ্রুপ পর্ব থেকে জার্মানি ছিটকে যাওয়ার পরই অবসরের ইঙ্গিত দিলেন মুলার