দোহা: শেষ, এখানেই শেষ। কাতার বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। শেষ আটে মরক্কোর কাছে হেরে বিদায় নিল পর্তুগাল। জীবনের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে ফেললেন সি আর সেভেন। অন্য়দিকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম আফ্রিকান-আরব দেশ হিসেবে হিসেবে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছল মরক্কো। এর আগে ক্যামেরুন, ঘানা, সেনেগাল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্তই যেতে পেরেছিল আফ্রিকান দেশ হিসেবে। 


এদিনের ম্যাচেও শুরুতে রোনাল্ডোকে বসিয়েই একাদশ সাজিয়েছিলেন ফার্নান্দো স্যান্তোস। আগের ম্যাচের নায়ক রামোস এদিন যদিও পুরো ব্যর্থ। প্রথমার্ধেই উল্টো গোল হজম করতে হয়। ম্যাচের ৪২ মিনিটের মাথায় ইউসুফ এনিসিরি গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুত রোনাল্ডোকে মাঠে নামান স্যান্তোস। সি আর সেভেন মাঠে নামার পর পর্তুগালের খেলায় গতি ফিরলেও মরক্কোর শক্তিশালী ডিফেন্স ভেদ করে গোল করাটা একপ্রকার অসাধ্য ছিল পর্তুগালের কাছে। 


ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কাছে এটাই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু ট্রফি অধরাই থেকে গেল ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনওবারই কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করতে পারেননি রোনাল্ডো। এবারও পারলেন না। দেশের জার্সিতে ১৯৬ ম্যাচ খেলতে নেমে রেকর্ড তো গড়লেন, কিন্তু ম্যাচ শেষে চোখের জলেই বিদায় নিতে হল পর্তুগিজ সুপারস্টারকে। 


অতিরিক্ত সময়ে ৮ মিনিট দেওয়া হয়েছিল। ৯৩ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখেন মরক্কোর ছেদিরা। আফ্রিকার দলটি ১০ জনের হয়ে গেলেও গোলমুখ খুলতে পারেননি রোনাল্ডোরা। 


রোনাল্ডোকে যে প্রথম একাদশে রাখা হবে না তার আভাস আগেই দিয়েছিলেন কোচ স্যান্তোস। তিনি বলেন, ''ম্যাচের আগে আমাদের কথা হয়েছিল। প্রথম একাদশের বাইরে থাকা সব ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদেরকে বেঞ্চে রাখি তা নয়, কিন্তু রোনাল্ডো দলের অধিনায়ক। তাই ম্যাচের আগে ওকে ডেকে আমার পরিকল্পনার কথা বলেছিলাম। প্রথমে ওর খারাপ লেগেছিল। কিন্তু পরে দলের স্বার্থে আমার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল। আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা হয়নি।''


এর আগে খবর ছড়িয়েছিল যে পর্তুগাল স্কোয়াড ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন রোনাল্ডো। কিন্তু সেই খবরও যে ভুলো তাও জানিয়েছেন স্যান্তোস। তিনি বলেন, ''এই খবরের কোনও সত্যতা নেই। রোনাল্ডো কখনওই পর্তুগাল স্কেয়াাড ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেনি। এই বিষয়ে আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি।'' 


যদিও আজকেও রোনাল্ডোকে প্রথম থেকেই না খেলানো ও এরপর পর্তুগালের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর স্যান্তোসের চাকরি থাকা নিয়ে যে সংশয় রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।