নয়াদিল্লি: খেলার কোনও সীমানা নেই। এরই একটা আদর্শ দৃষ্টান্ত তুলে ধরনের ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মহারণের আগে পাক দলের অধিনায়ক সরফরাজ আদমেদের চার মাসের ছেলেকে কোলে নিয়ে তোলা ধোনির ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান-দুই দলের ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে এই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত গতিতে।





ধোনি ভারতের আর সরফরাজ পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক। কিংস্টন ওভালে দুই প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেট যুদ্ধের আগে এই ছবি দেখাল-খেলার মাঠে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু মাঠের বাইরে সেই লড়াইয়ের রেশ নেই।

বার্মিহামে বাংলাদেশকে হারিয়ে লন্ডনে পৌঁছনোর পর ধোনির সঙ্গে দেখা হয় পাক অধিনায়ক ও তাঁর স্ত্রী কুশবক্তের। সঙ্গে ছিল তাঁদের ছেলে আবদুল্লা। আবদুল্লাকে কোলে নিয়ে ধোনি ছবিও তোলেন। সেই ছবি সরফরাজের মামার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হয়। সরফরাজের মামা আদতে ভারতীয়।উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার বাসিন্দা মেহবুব হাসান সরফরাজের মামা। মেহবুব বলেছেন, একমাত্র মাঠেই ভারত ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের লড়াই। মাঠের বাইরে একে অপরের সঙ্গে তাঁরা কথাবার্তা বলে থাকেন।

সরফরাজের সঙ্গে খুশবক্তের বিয়ে হয়েছিল ২০১৫-তে। মেহবুব জানিয়েছেন, সপরিবারে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে কয়েকদিন ছিলেনও। আবদুল্লা সরফরাজের প্রথম সন্তান।

ধোনির কোলে নাতি আবদুল্লার ছবি দেখে আপ্লুত সরফরাজের মা আকীলা বানুও। তিনি বলেছেন, ধোনির এই ব্যবহার তাঁকে মুগ্ধ করেছে। ছবিটা তিনি তাঁর সমস্ত আত্মীয়স্বজনদেরও দেখিয়েছেন। উচ্ছ্বসিত আকীলা বানু বলেছেন, আমার মেয়েও এই ছবি দেখে দারুন খুশি হয়েছে।

ছেলে যে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক হয়েছেন তা দেখে যেতে পারেননি সরফরাজের বাবা। আকীলা বানু বলেছেন, কয়েক বছর আগে সরফরাজের বাবা মারা গিয়েছেন। তবে ছেলেকে অনুর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ খেলতে দেখেছিলেন তিনি। আকীলা বানু জানিয়েছেন, ভারতের অধিনায়ক কোহলিও তাঁর বাবাকে অকালে হারিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।

আকীলা বানু বলেছেন, এসব ওপরওয়ালার ইচ্ছেয় হয়। কারুর কিছু করার থাকে। কোহলি ও নিজের ছেলে দুজনকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।