আজ খেলার শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ড্যানি ফক্স চোট পেয়ে উঠে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় দল। ৭ মিনিটে মাঠ ছাড়েন ফক্স। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে মহম্মদ রফিককে নামান লাল-হলুদ কোচ। কিন্তু এই পরিবর্তনে দলের কোনও লাভ হয়নি। উল্টে রক্ষণ আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। মুম্বইয়ের একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েন স্কট নেভিল, নারায়ণ দাসরা। মুম্বইকে গোল পাওয়ার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ২০ মিনিটেই প্রথম গোল করেন অ্যাডাম লে ফন্ড্রে। কর্নারের সময় বিপক্ষ বক্সে উঠে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বেশিরভাগ ফুটবলার। ফাঁকায় বল পেয়ে গোল করেন ফন্ড্রে। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের গোল খেয়ে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৪৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন ফন্ড্রে। এই গোলটা ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচে ফেরার যাবতীয় আশা শেষ করে দেয়। এরপর ৫৮ মিনিটে মুম্বইয়ের হয়ে তৃতীয় গোল করেন হেরনান সান্তানা। দল তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর স্ট্রাইকার বলবন্ত সিংহকে তুলে জেজেকে নামান ফাউলার। বলবন্ত সারাক্ষণ নিষ্প্রভই ছিলেন। জেজে নেমেও বিশেষ কিছু করতে পারেননি।
সবে দুই ম্যাচ হলেও, এরই মধ্যে ইস্টবেঙ্গল কোচ ও ম্যানেজমেন্টের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। প্রথমত, এখনও সাত নম্বর বিদেশি নেয়নি দল। সপ্তম বিদেশি কে হবেন, তিনি কবে আসবেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। দ্বিতীয়ত, এই ইস্টবেঙ্গলে গোল করার লোকের বড্ড বেশি অভাব। বলবন্ত নিজের সেরা সময় পেরিয়ে গিয়েছেন। তিনি এখন আর দেশের সেরা লিগে দলের প্রধান স্ট্রাইকার হিসেবে খেলার যোগ্য নন। জেজেকে কেন প্রথম থেকে খেলানো হচ্ছে না, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। হয়তো তাঁরও ফিটনেসজনিত সমস্যা রয়েছে। তৃতীয়ত, ইস্টবেঙ্গলের ভারতীয় ফুটবলার বাছাইও ঠিকমতো হয়নি। অনেক দেরিতে আসরে নামায় দেশের সেরা ফুটবলারদের পায়নি লাল-হলুদ ব্রিগেড। এখন তারই খেসারত দিতে হচ্ছে।