মুম্বই: যুব বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয়েছে ভারতীয় দল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে হারতে হয়েছে উদয় সহরণের দলকে। গোটা টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকলেও শেষ পর্যন্ত ফাইনালে হার মেনে নিতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। ৭৯ রানে ম্যাচ জিতে চতুর্থবারের জন্য যুব বিশ্বকাপ খেতাব জেতে অজিরা। তবে ফাইনালে হারলেও ধারাবাহিক টুর্নামেন্টে ভালো খেলার পুরস্কার পেলেন ভারতের ৪ তরুণ ক্রিকেটার। যুব বিশ্বকাপের সেরা একাদশে সু্যোগ করে নিলেন তাঁরা। 


উদয় সহরণ ভারতীয় দলের অধিনায়ক। মুশির খান, দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার। সচিন দাস সেমিফাইনালে শতরান হাঁকিয়েছিলেন। দলের সেরা বোলার সাউমি পাণ্ডে। এই চার ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন একাদশে। আইসিসির তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দুটো দল গোটা টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভাল পারফর্ম করে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে এই দুই দলের মোট ৭ জন প্লেয়ার সুযোগ পেয়েছেন।" উল্লেখ্য, এই দলে সুযোগ পাওয়া মুশির টুর্নামেন্টে একমাত্র ব্যাটার, যিনি দুটো শতরান হাঁকিয়েছেন। নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেছিলেন সেঞ্চুরি।


উল্লেখ্য, ১৯৯৮, ২০০২, ২০১০ ও ২০২৪। এই নিয়ে চতুর্থবার। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ভারতকে হারিয়ে চতুর্থবারের জন্য যুব বিশ্বকাপ খেতাব জিতে নিল টিম অস্ট্রেলিয়া। গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপে রোহিতদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। সেবার প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার যুব বিশ্বকাপেও সেই অজিদের বিরুদ্ধেই হারতে হল ফাইনালে। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে এদিন নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল। জবাবে ভারতীয় দল ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি।


অস্ট্রেলিয়ান দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটের বিনিময়ে ২৫৩ রান বোর্ডে তুলেছিল। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে এটি সর্বকালের সর্বোচ্চ স্কোর। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে হর্যাস সিংহ সর্বাধিক ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। ভারতের হয়ে ফাস্ট বোলার রাজ লিম্বানি সর্বাধিক তিন উইকেট নেন। 


জবাবে ব্যাটি করতে নেমে প্রথম থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। অর্শিন কূলকর্নীর উইকেট প্রথম হারায় ভারত। ফর্মে থাকা মুশির খান ২২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অধিনায়ক উদয় সহরণও রান পাননি। তিনি ফেরেন ৮ রান করে। কিছুটা লড়াই করছিলেন আদর্শ সিংহ। তিনি ৪৭ রান করলেও কারও সাহায্য পাননি। মুরুগান অভিষেক ৪২ রান করেন।