কলকাতা:  ইডেনের পিচে আরসিবির বিরুদ্ধে নাইটদের খেলা দেখেছেন। নারাই, বরুণ জুটিই শুধু নয়। নতুন সংযোজন সুয়াশ শর্মার ভেল্কিও সামলাতে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসিকে। আবার আগামীকাল নাইটরা নামবে সেই ইডেনে। এবার সামনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কমলা ব্রিগেডের স্পিন বোলিং কোচ তিনি। তিনি কিংবদন্তি মুত্থাইয়া মুরলিথরন। বৃহস্পতিবার নেটে সানরাইজার্সের অনুশীলনে দেখা গেল দীর্ঘক্ষণ নেটে বল করে গেলেন মুরলি। সুনীল নারাইন, বরুণদের সামলানোর লড়াই, সানরাইজার্সের নেটে নিজেই বল হাতে নেমে পড়লেন মুরলিথরন।


ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাট মিলে বিশ্বের সর্বাধিক উইকেট শিকারি তিনি। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রাক্তন লেগি বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি স্পিনার। নিজের সময় বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্য়াটারদের কাছে ত্রাস ছিলেন মুরলি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের স্পিন বোলিং কোচ  হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এদিন অনুশীলনে রাহুল ত্রিপাঠী, মারক্রাম, ময়ঙ্করদের বিরুদ্ধে টানা বল করে গেলেন। অনেকেই মুরলির বলে মিস করলেন শট মারতে। এখনও যে ধার কমেনি বোলিংয়ের, তা এদিনও বুঝিয়ে দিলেন ডানহাতি এই লেগস্পিনার।


লকি ফার্গুসন (Lockie Ferguson) ও উমরন মালিক (Umran Malik)। প্রথমজন খেলছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে (Kolkata Knight Riders)। দ্বিতীয়জন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে (Sunrisers Hyderabad)। গত মরসুমে ফার্গুসন খেনেছেন গুজরাত টাইটান্সে। দুজনই ধারাবাহিকভাবে ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করেন। গত আইপিএলে ঘণ্টায় ১৫৭ কিলোমিটার গতিতে বল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন উমরন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সেটাই ছিল টুর্নামেন্টের দ্রুততম বল। কিন্তু গতবারের  ফাইনালে সেই রেকর্ড ভেঙে দেন লকি। ফাইনালে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে লকি একটি বল করেছিলেন ঘণ্টায় ১৫৭.৩ কিলোমিটার গতিতে।


ইডেনে শুক্রবার কী হবে? কে জিতবেন গতির লড়াইয়ে? গুজরাত টাইটান্স ছেড়ে এবার কেকেআরে যোগ দিয়েছেন লকি। এবিপি লাইভের প্রশ্ন শুনে নিউজিল্যান্ডের পেসার বললেন, 'সংবাদমাধ্যমই গতির লড়াই নিয়ে এত কথা বলে। তবে ফাস্টবোলারদের মধ্যে সৌভাতৃত্ব থাকে। বিশেষ করে তাদের মধ্যে, যারা ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করে। উমরন তরুণ বোলার। ভারতীয় দলেও খেলেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ভাল খেলেছে। আমি ওকে বলব, জোরে বল করে যাও। পাশাপাশি অনরিখ আছে। আরও অনেকে আছে যারা দ্রুত গতিতে, ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করে। তবে ফাস্টবোলারদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক হয়। একে অপরকে সব সময় সমর্থন করে।''