কলকাতা: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা তৃণমূল সাংসদ (TMC MP Aparupa Poddar) অপরূপা পোদ্দারের। ‘পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) পর তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করবেন শুভেন্দু। তদন্ত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছিলেন’, রাখঢাক না করেই ট্যুইটারে লিখলেন আরামবাগের সাংসদ। সংযোজন, 'পঞ্চায়েতে ভরাডুবির পর মোহভঙ্গ হলে বিজেপি ছাড়বেন। তবে দলে ফেরাবেন কি না, সেটা ক্যাপ্টেন ঠিক করবেন। তবে ক্যাপ্টেনকে অনুরোধ, দণ্ডি কেটে নয়, কান ধরে ওঠ বোস করিয়ে দলে নেবেন’, ট্যুইট সাংসদের। পাল্টা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বলেছেন, 'আরামবাগ থেকে টিকিট পেলে হারার জন্য তৈরি থাকুন।'



AITC. pic.twitter.com/HYJD02fReQ



প্রেক্ষাপট:
মার্চ মাসেও নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতাকেও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন শুভেন্দু। সে বার নারদ-কাণ্ডে নারদকাণ্ড মুখ খুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। বলেছিলেন, 'দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নারদ স্টিং অপারেশন ছাড়া কোনও অভিযোগ নেই । রাজনৈতিক চাঁদা দেওয়ার নামে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে ছিল ভাইপো। যাদের আগামীদিনের বাধা বলে মনে করেছিল, তাদের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করা হয়।' ৬৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ম্যাথুকে কে ডি সিংহর সাহায্যে ব্যবহার করা হয়েছিল।' এর পরই পাল্টা তাঁর মুখোশ খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। বলেছিলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সবথেকে বড় নটবরলালের নাম শুভেন্দু অধিকারী। আজ এটা প্রমাণিত। আজ নারদ নিয়ে উনি অনেক বড় বড় কথা বলছেন, এত দিন কেন বলেননি? আজ খানাকুলের রমেন পরামানিক ওরফে রাজা নিয়ে ম্যাথু স্যামুয়েলকে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। উনি যদি ধোয়া তুলসীপাতা হন, তা হলে কেন সেটা তিনি তখন মেনে নিয়েছিলেন? আজ বড় বড় কথা বললে হবে না। প্রয়োজন হলে ইডি, সিবিআই, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি--যেখানে ইচ্ছা সেখানে বসাক। আমাকে, রমেন পরামানিক, শুভেন্দু অধিকারী ও ম্যাথু স্যামুলেয়কে সামনে বসাক। আমি ওঁর মুখোশ খুলে দেব যে উনি কত বড় অপরাধী।' প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের সময় যত এগিয়ে আসছে তত তৃণমূল সমালোচনার ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। হালেই কালিয়াগঞ্জের সভায় বলেন 'ভাইপোর মতো হেলিকপ্টার নিয়ে সভা নয়, মানুষকে নিয়ে সভা। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথীর লোভ দেখিয়ে জনসভা নয়। বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়েও মাঠ ভরানো হয়নি'জোর করে মাঠ ভরানো হয়নি।' পাল্টা এসেছে তৃণমূল শিবির থেকেও। দুর্নীতি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বুধবার তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়


আরও পড়ুন:দক্ষিণ দিনাজপুরে দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে ২ তৃণমূল নেতা গ্রেফতার