মুম্বই: ২ জনই ক্রিকেট বিশ্বের ২ মহান মহারথী। একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছেন। সর্বকালের সেরাদের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছেন ২ জন। ২২ গজের বাইরেও সচিন তেন্ডুলকর ও মুথাইয়া মুরলীধরনের বন্ধুত্ব বেশ চর্চিত। এবার সচিনকে নিয়েই একটি মন্তব্য করলেন মুরলী। কেরিয়ারের বেশিরভাগটা একই সময়ে খেলেছেন সচিন ও মুরলী। প্রাক্তন লঙ্কা স্পিনার বলছেন, সচিন নাকি অফস্পিনের সামনে কিছুটা দুর্বল ছিলেন।
প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার আকাশ চোপড়ার সঙ্গে কথপোকথনে মুরলী বলেন, 'সচিনকে বল করা একদমই ভয়ের নয়, কারণ সে কখনওই প্রত্যাঘাত করবে না। সচিন সবসয়ম নিজের উইকেট বাঁচিয়ে রাখত। ও টেকনিক্যালি শক্তিশালী। কিন্তু সহবাগ ঠিক তার উলটো। ও প্রত্যাঘাত করবেই।' এরপরই মুরলী আরও বলেন, 'আমি আমার পুরো কেরিয়ারে একটি বিষয় অনুধাবন করেছি যে সচিনের অফস্পিনের প্রতি কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে ওঁ দুর্দান্ত খেলত। কিন্তু অফস্পিনের বিরুদ্ধে দুর্বলতা ছিল ওঁর। কারণ আমি বেশ কয়েকবার ওঁকে আউট করেছিলাম। এছাড়াও অনেক অফস্পিনার ওঁকে আউট করেছে বেশ কয়েকবার।'
নব্বইয়ের দশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছিলেন মুরলীধরন। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ১৬ বছর বয়সে টেস্টে অভিষেক হয় সচিন তেন্ডুলকরের। এরপর থেকে ২ জনই একাধিক রেকর্ড গড়েছেন। সচিন যেমন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, তেমনই লঙ্কা স্পিনারও টেস্টে প্রথম বোলার হিসেবে ৮০০ উইকেট শিকারি হয়েছেন। মুরলী বলেন, 'সচিনের সঙ্গে এই নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি আমার। তাই জানানোও হয়নি এই বিষয়টা। আমি নিজেই এই বিষয়টা ভাবতাম। তার জন্যই হয়তো ওঁর বিরুদ্ধে কিছুটা সুবিধেও পেতাম। তবে সচিন ভীষণই শক্তিশালী ব্যাটসম্যান। ওঁকে আউট করা ভীষণ কঠিন।' সহবাগকে নিয়ে অবশ্য মুরলী বলছেন, 'সহবাগের ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্য ফিল্ডিংয়ে ছক কষতে হত। ও জানত যে, নিজের দিনে সহবাগ যে কাউকে আক্রমণ করতে পারত। '