সৌমিত্র রায়, কলকাতা: আজ মোহনবাগানের প্রতিষ্ঠা দিবস। ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত গর্বের একটি দিন। বিশেষ করে বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। ১৯১১ সালে এই ঐতিহাসিক দিনেই আইএফএ শিল্ডে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল খালি পায়ে খেলা ১১ দামাল বাঙালি। সেই দিনটিই মোহনবাগান প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এদিন মোহনবাগান লেগে এই প্রতিষ্ঠা দিবস ধুমধাম করে পালিত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত, ডেপুটি মেয়র, বিধায়ক অতীন ঘোষ। অমর একাদশ ফলকের সামনে ক্লাবের পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রচুর সবুজ মেরুন সমর্থক উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
উল্লেখ্য, ১৯১১ সালে আইএফএ শিল্ডে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিলেন হাবুল সরকার, অভিলাস ঘোষ, কানু রায়রা। শিবদাস ভাদুরীর নেতৃত্বে সেদিন বুট পরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে খালি পায়ে খেলেছিলেন। জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। ১৯৮৯ সালে ক্লাবের প্রতিষ্ঠা-শতবর্ষ উপলক্ষে ভারত সরকার ১৯১১ সালের এই জয়ের একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছিল। এবার মোহনবাগান দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হবে আগামীকাল।
এদিকে, আসন্ন মরশুমে সবুজ-মেরুন জার্সিতে দেখা যাবে না কার্ল ম্যাকহিউকে। শুক্রবার ক্লাবের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করে দেওয়া হয়। তিন বছর মেরিনার্স শিবিরে থাকার পরে তাঁকে অবশেষে ছেড়ে দেওয়া হল।
গত কয়েক মরশুমে মোহনবাগানের নির্ভরযোগ্য সদস্য হয়ে উঠেছিলেন ম্যাকহিউ। টানা দু’বার তিনি এটিকে মোহনবাগানকে হিরো আইএসএলের ফাইনালে উঠতে ও গতবার চ্যাম্পিয়ন হতেও সাহায্য করেন। গত মরশুমে ক্লাবের হয়ে ২১টি ম্যাচ খেলেন তিনি। দলের খেতাব জয়ে তাঁর অবদান ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ডিফেন্ডার ও মিডফিল্ডার হিসেবে খেললেও তিনটি গোল করেন তিনি এবং একটি গোলে অ্যাসিস্টও করেন।
২০১৯-২০ মরশুমে তিনি এটিকে এফসি-তে যোগ দেন। তার পর থেকে গত মরশুম পর্যন্ত কলকাতার ক্লাবেই ছিলেন। প্রথম বছরেই এটিকে এফসি-র খেতাব জয়ে তাঁর অবদান ছিল। পরের মরশুমে এটিকে মোহনবাগানে যোগ দেন ও সেবার তিনি হিরো আইএসএলে রানার্স আপ দলের সদস্য ছিলেন। সেবার দুটি অ্যাসিস্ট ছিল তাঁর। সব মিলিয়ে হিরো আইএসএলে ৬৬টি ম্যাচ খেলেন ম্যাকহিউ এবং এই লিগের সবচেয়ে অভিজ্ঞ তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। মিডফিল্ডার হলেও রক্ষণেও যথেষ্ট পারদর্শী কার্ল। সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার, ডিফেন্সিভ মিডিও বা লেফট ব্যাক হিসেবে তাঁকে হিরো আইএসএলে দেখা গিয়েছে।