মূলত প্রত্যাবর্তন ঘটানো এই দুই ক্রিকেটারের দুরন্ত পারফরম্যান্সে ভর করেই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে জয় পেল ক্যারিবিয়ানরা। ১৫ বছর পর ঘরের মাঠে একদিনের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গত বছরের নভেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফরে একদিনের সিরিজে নারিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এরপর থেকেই তিনি জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। কিন্তু দেখা গেল, অ্যাকশন বদল করলেও তাঁর বলের ধার একটুও কমেনি। এদিন তিনিই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন। নারিন বলেছেন, ‘আমার বোলিং অ্যাকশন ৮০ শতাংশ বদল করতে হয়েছে। সেটা আমার পক্ষে ভাল হয়েছে। আশা করি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কেরিয়ারের বাকি সময়টা খেলার সুযোগ পাব।’
২০১৪ সালের অক্টোবরে ভারত সফর অসমাপ্ত রেখে ফিরে যাওয়ার পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন পোলার্ড। ফিরে এসেই তিনি অসাধারণ ব্যাট করে দলকে জেতালেন। আইপিএল-এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই তারকা বলছেন, টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে না পারার আফশোস রয়েছে। তবে চোট সারিয়ে জাতীয় দলে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে।
এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৪৬.৫ ওভারে ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ শুরুটা ভালই হয়েছিল। হাশিম আমলা (২০) ও কুইন্টন ডি ককের (৩০) ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৫২ রান। এরপর রিলি রসু (৬১) এবং অধিনায়ক এবি ডিভিলিয়ার্সের (৩১) জুটিতে ৭৮ রান ওঠে। সেই সময় মনে হচ্ছিল প্রোটিয়ারা বড় রানের ইনিংস গড়বে। কিন্তু ৩ উইকেটে ১৬০ থেকে মাত্র ২৮ রানে শেষ ৭ উইকেটের পতন হয়।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করে ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু স্পিনাররা বল করা শুরু করতেই ধস নামে। ইমরান তাহির, অ্যারন ফাঙ্গিসো, জেপি দুমিনির দাপটে ৭৬ রানে ক্যারিবিয়ানদের ৪ উইকেট পড়ে যায়। এই সময় রুখে দাঁড়ান পোলার্ড। তিনি অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।