নয়াদিল্লি: রবিবার, ২৯ অগাস্ট দেশজুড়ে পালিত হবে জাতীয় ক্রীড়াদিবস।


জীবনে খেলাধুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। আর সেই কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন দেশে পালিত হয় ক্রীড়াদিবস। আলাদা আলাদা দিনে। জনমানসে ক্রীড়া সচেতনতা বৃদ্ধি ও দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতি তথা জাতীয় ক্রীড়া দলগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে এই দিনটি পালিত হয়। ইরানে ১৭ অক্টোবর ক্রীড়াদিবস পালিত হয়। কাতারে জাতীয় ক্রীড়া দিবস সরকারি ছুটির দিন। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার দিনটি উদযাপন করা হয়। ১৯৬৪ সালে অলিম্পিক্স আয়োজিত হয়েছিল জাপানের রাজধানী টোকিওতে। তারপর থেকে প্রত্যেক বছর ১০ অক্টোবর দিনটি জাপানে ক্রীড়াদিবস হিসাবে পালন করা হয়।


ভারতে প্রত্যেক বছর ২৯ অগাস্ট দিনটি ক্রীড়াদিবস হিসাবে পালিত হয়। এই দিনটি হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের জন্মদিন। ভারতের হয়ে ১৯২৮, ১৯৩২ ও ১৯৩৬ অলিম্পিক গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন ধ্যানচাঁদ। দেশের হয়ে মোট ৫৭০টি গোল করেছিলেন কিংবদন্তি। ১৯০৫ সালের ২৯ অগাস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি।


কেন স্কুলে ক্রীড়াদিবসকে গুরুত্ব দেওয়া হয়?


ছোট থেকেই স্কুলের পড়ুয়াদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য খেলাধুলোর প্রয়োজন। এর কোনও বিকল্প নেই। সুস্থ জীবনযাপনের অন্যতম মাধ্যম ক্রীড়া। এর মাধ্যমে সামাজিক মেলবন্ধনও গড়ে ওঠে। আর সেই দর্শনের প্রতিফলন ঘটাতেই স্কুলে স্কুলে পালিত হয় ক্রীড়াদিবস।


২৯ অগাস্ট জাতীয় ক্রীড়াদিবস হিসাবে পালন করার কারণ কী?


ভারতে জাতীয় ক্রীড়াদিবস পালিত হয় হকির জাদুকর মেজর ধ্যানচাঁদের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে। দেশের হয়ে অলিম্পিক্সের (১৯২৮, ১৯৩৪, ১৯৩৬) আসর থেকে তিনবার স্বর্ণপদক ছিনিয়ে এনেছেন ধ্যানচাঁদ। তাঁর খ্যাতির বহর এমনই ছিল যে, অ্যাডলফ হিটলার তাঁকে জার্মানির হয়ে খেলার জন্য টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার তাঁরই নামাঙ্কিত। জীবনকৃতি হিসাবে দেওয়া হয় মেজর ধ্যানচাঁদ পুরস্কার।


ছাত্রদের কাছে খেলা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?


ছাত্ররা শারীরিক ভাবে ফিট থাকলেই পড়াশোনায় সফল হতে পারবে। খেলাধুলোর হাত ধরেই শিশুদের মধ্যে বন্ধুত্বের পাশাপাশি গড়ে ওঠে একতা ও নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা। খেলার সৌজন্যে স্কুল পড়ুয়ারা মানসিক ও শারীরিক ভাবেও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।


কীভাবে উদযাপিত হবে জাতীয় ক্রীড়াদিবস?


২৯ অগাস্ট রাষ্ট্রপতি ভবনে পালিত হবে জাতীয় ক্রীড়াদিবসের মূল অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রপতি এদিন কৃতী ক্রীড়াবিদদের রাজীব গাঁধী খেলরত্ন, অর্জুন পুরস্কার, দ্রোণাচার্য সম্মান ও ধ্যানচাঁদ পুরস্কার প্রদান করবেন।