করাচি: জ্যাভলিনে সোনা জিতেছিলেন প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে। অলিম্পিক্স রেকর্ডও গড়েছেন। আর হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়াকে। টোকিওতে সোনাজয়ী নীরজ এবার রুপো জিতেছেন। পদক জয়ের পরই নীরজের মা-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল এই বিষয়ে তখন নীরজের মা বলেছিলেন যে আর্শাদও তাঁর সন্তানের মত। এবার পাকিস্তানের আর্শাদও হৃদয় জিতে নিলেন ভারতবাসীর। নীরজ চোপড়ার মা-কে নিজে মা বলেই সম্বোধন করলেন পাকিস্তানের তারকা জ্যাভলিন থ্রোয়ার। 


পাকিস্তানে পৌঁছেও রাজকীয় সংবর্ধনা পেয়েছেন আর্শাদ। সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁর কাছে নীরজ চোপড়ার মায়ের বক্তব্যটি তুলে ধরেছিলেন। তখনই আর্শাদ বলেন, ''মা সবার মা হয়। নীরজ চোপড়ার মায়ের ওপর আমি কৃতজ্ঞ। উনি আমাদের জন্য এত প্রার্থনা করেছেন। নীরজের মা আমারও মা। তাই আমরা গোটা বিশ্বের মধ্য়ে দুজন এশিয়ার প্লেয়ার যারা পারফর্ম করতে পারছিলাম।''


 






কিছুদিন আগেই নীরজের মা বলেছিলেন, ''ছেলে রুপো জিতেছে। তাতেও আমরা বেজায় খুশি। পাকিস্তানের আর্শাদ সোনা জিতেছে। আর্শাদও তো আমার ছেলেই। তাই আমার মন একেবারেই খারাপ নয়। আমি খুব খুশি।''


এদিকে, সোনা জিততে না পারার জন্য আক্ষেপ রয়েই গিয়েছে নীরজ চোপড়ার। দেশে ফেরার পর এক অনুষ্ঠানে নীরজকে বলতে শোনা যায়, 'বলার মতন তেমন কিছু নেই। তবে আমি আপনাদের দেখাব বলে একটা জিনিস নিয়ে এসেছি। গত বারের মতো জাতীয় সঙ্গীত বাজেনি, সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছি আমি, যা ভেবেছিলাম, তেমনটা হয়নি। তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে দিনের শেষে পদক তো পদকই। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। দেশের জন্য পদক জিতে পতাকা কাঁধে নিয়ে ট্র্যাকের চারিদিকে ঘোরার অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।' প্রসঙ্গত, অ্যাথলিট হিসাবে নীরজ বিশ্বের সেরাদের মধ্যে তো পড়েনই। তবে মানুষ হিসাবেও তিনি যে কতটা ভাল, তা সম্প্রতি এক ঘটনার মাধ্যমে সহজেই বোঝা গেল। প্রসঙ্গ, প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের পুরুষ পতাকাবাহক নিয়ে। পুরুষ পতাকাবাহক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন দুইজন। নীরজ ও পিআর শ্রীজেশ। শেষমেশ শ্রীজেশকেই বাছা হয়। এই বিষয়ে নীরজকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনিও শ্রীজেশের নামই বলেন বলে জানান ভারতীয় অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পিটি ঊষা।