মুম্বই: পথচলতি একটা ভাষা আমরা গলি ক্রিকেটে প্রায়ই শুনে থাকি। তাড়ু প্লেয়ার। এমন কোনও ব্য়াটার যে ক্রিজে এলে শুধুমাত্র বড় শট খেলার জন্যই চেষ্টা করে। আর তার জন্য হয় সেই শটে কখনও ছক্কা হয় তো কখনও আউট হতে হয় সেই প্লেয়ারকে। গতকাল ওয়ান ডে ক্রিকেটের সর্বকালের অন্য়তম সেরা একটি ইনিংস খেলা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের (Glenn Maxwell) পরিচিতিও ছিল অনেকটা এমনই। তিনি নাকি ধরে খেলতে পারেন না। তিনি নাকি সিঙ্গলসে খেলতে পারেন না। তিনি ক্রিজে এসে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেন আর নিজের উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। ম্যাক্সওয়েলের ফুটওয়ার্ক নেই, তিনি কোনও ব্যাকারণগত ক্রিকেটীয় শট খেলেন না, বারবার শোনা গিয়েছে এমনটা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংসের পর অবশ্য় ছবিটা অনেকটাই বদলেছে। অজি অলরাউন্ডারের ক্রিজে অসহ্য শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে টিকে থেকে দলকে সেমিফাইনালে তোলা, এক পায়ে যেভাবে দাঁড়িয়ে একটা গোটা দলের বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ করে দিলেন, তাতে এখনও আচ্ছন্ন গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। স্বয়ং কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরও গতকালই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁর দেখা সেরা ওয়ান ডে ইনিংস এটি। এবার গ্লেনের ফুটওয়ার্ক নিয়ে ওঠা প্রশ্নও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে মাস্টার ব্লাস্টার।


কিছুক্ষণ আগেই ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সচিন লিখেছেন, ''জীবন ও ক্রিকেট অনেকটা সমান্তরাল। কখনও তা আপনাকে পেছনে টেনে আনে তো কখনও এগিয়ে দিতে সাহায্য করে। গতকাল খেলা চলাকালিন ম্যাক্সওয়েলের পায়ে ক্র্যাম্প এসেছিল। ক্রিজে থাকতে হয়েছিল এরপরও তাঁকে। চোখ বলের ওপর রাখতে হচ্ছিল। হাত ও চোখের সমন্বয় আরও দুর্দান্তভাবে হয়েছিল তাঁর। অসাধার ব্যাট চালিয়েছিল ও। বিভিন্ন ফর্ম্যাটের খেলায় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রকম ফুটওয়ার্কের প্রয়োজন হয়। আবার কখনও ফুটওয়ার্ক না থাকাটাও দারুণ একটা বিষয় হয়ে যায়।''


 






গতকাল ম্য়াক্সওয়েলের ইনিংস দেখার পরই সচিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ''ইব্রাহিম জাদ্রানের দারুণ ইনিংস ম্যাচের প্রথমার্ধে আফগানিস্তানকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল। ম্যাচে ৭০ ওভার আফগানিস্তান ভাল খেলেছে। কিন্তু শেষ ২৫ ওভারে ম্যাক্সি সব হিসেব নিকেশ বদলে দিল। সবচেয়ে চাপের মুখে সেরা পারফরম্যান্স। আমার দেখা সেরা ওয়ান ডে ইনিংস।''