বেলগ্রেড: অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন না খেলেই ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। টিকা বিতর্কে বারবার আলোচনায় উঠে এসেছেন বিশ্বের ১ নম্বর টেনিস তারকা। কিন্তু এবার সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলবেন নোভাক জকোভিচ। দেশে ফেরার পর থেকে সার্বিয়ার মানুষের ও বিশ্বের অগনিত ভক্তের সমর্থন পেয়েছিলেন। কিন্তু টিকা বিতর্ক বা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে কোনো কথা বলেননি জোকার। কিন্তু আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যেই তিনি সেই নিয়ে মুখ খুলবেন। জোকার বলেন, ''আমি সবাইকে বলব আর কিছুদিন ধৈর্য ধরুন। আমি আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ইস্যুতে আমার বক্তব্য মিডিয়ার সামনে রাখব।''


এদিকে সার্বিয়ার রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার ভুসিকের (Aleksandar Vucic) সঙ্গে দেখা করে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। অস্ট্রেলিয়া বিমানবন্দরে আটক থাকার পর থেকে সেখানে যেভাবে হোটেলবন্দি রাখা হয়েছিল জকোভিচকে, সেই সময় সার্বিয়ান প্রেসিডেন্টের বিপুল সমর্থন পেয়েছিলেন বিশ্বের ১ নম্বর টেনিস তারকা। জোকার বলেন ,''আপনার সঙ্গে দেখা করার পিছনে একটাই কারণ ছিল, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে যেভাবে আপনি আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন তাতে আপনাকে ধন্যবাদ না জানালে অন্যায় হত। বড় বিষয় হল, আপনি শুধু প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়, একজন সার্বিয়ান নাগরিক হয়ে আপনি আমাকে সমর্থন জানাতে এগিয়ে এসেছিলেন।'' 


ভ্যাকসিন না নেওয়া। ফর্মে ভুল তথ্য দেওয়া। করোনা আক্রান্ত হয়ে ইন্টারভিউ দেওয়া, গত কয়েক সপ্তাহে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে পারেননি। তাঁকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সরকার। কিন্তু এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন এক হুঁশিয়ারি সার্বিয়ান টেনিস তারকার জন্য। ফরাসি ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে কোভিডের ভ্যাকসিন না নিলে ফরাসি ওপেনেও খেলতে দেওয়া হবে না বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে। অস্ট্রেলিয়া সরকার যে পথে হেঁটেছে, সেই পথই অনুসরণ করতে চাইছে ফরাসি সরকার। 


ফরাসি ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ''নিয়ম খুব পরিষ্কার। আইন জারি হওয়ার পর হেকে ভ্যাকসিনেশোন শুরু হবে। ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হোক বা দর্শক সবাইকেই ভ্যাকসিন নিতে হবে। ফরাসি ওপেন হয় মে মাসে। ততদিনে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। সেদিকেও লক্ষ্য রাখব আমরা। কিন্তু এটুকু নিশ্চিত ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।''