মাদ্রিদ: টেনিস কেরিয়ারে সর্বাধিক ২৪ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক তিনি। পুরুষ ও মহিলা টেনিস মিলিয়েই সর্বাধিক গ্র্যান্ডস্লাম ঝুলিতে পুরে নিয়েছেন। গত মরশুমে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফরাসি ওপেন ও যুক্তরাষ্ট্র ওপেন তিনটি প্রধান টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন নোভাক। উইম্বলডনে গত মরশুমে রানার্স আপ হয়েছিলেন। এবার কাের্টে ধারাবাহিক সাফল্যের পুরস্কার জিতলেন নোভাক জকোভিচ। রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো জিতলেন ক্রীড়াবিশ্বের বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়ের পুরস্কার 'লরিয়াস' ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড। এর আগে ২০১২, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৯ মরশুমে এই পুরস্কার জিতেছিলেন। উল্লেখ্য, গতকাল মাদ্রিদে এক জমকালো অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। মহিলা ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের মধ্যে সেরার সেরা হলেন বোনমাতি। গত মরশুমে মহিলা বিশ্বকাপে স্পেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। যেই জয়ে ২৬ বছরের বার্সা মিডফিল্ডারের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। 






নোভাক জকোভিচ কয়েক সপ্তাহ আগেই একটি নতুন নজির গড়েছিলেন। রজার ফেডেরারকে টেক্কা দিয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে এটিপি ক্রমতালিকায় শীর্ষে ওঠার কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা। এতদিন পর্যন্ত রজার ফেডেরারই সবচেয়ে বেশি বয়সে এক নম্বর সিঙ্গেলস টেনিস তারকা হওয়ার কৃতিত্বের অধিকারী ছিলেন। এবার সেই রেকর্ড জকোভিচের দখলে রয়েছে। ৩৬ বছর ৩২১ দিনে এটিপি ব়্যাঙ্কিংয়ে একে পৌঁছেছিলেন সার্বিয়ান তারকা। জকোভিচের ফিটনেস, তাঁর ধারাবাহিকতা এবং লড়াকু মানসিকতা ঈর্ষণীয়। বয়সের গণ্ডি ৩০ পার করার পর তিনি যেন আরও ক্ষিপ্র হয়ে উঠেছেন। ৩০ বছরের পরেই জকোভিচ ৩১টি ট্যুর খেতাব জিতেছেন। রেকর্ড ২৪ স্ল্যামজয়ী তারকার ১২টি স্ল্যামই এসেছে তিনি ৩০-র গণ্ডি পার করার পর।


উল্লেখ্য, ১৩ বছর আগে প্রথমবার বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা হয়েছিলেন জকোভিচ। এখনও তিনিই শীর্ষে। ৪১৯তম সপ্তাহ এটিপি ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছেন জকোভিচ। এটিও সর্বকালীন রেকর্ড। এক্ষেত্রেও জকোভিচের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রজার ফেডেরার। সুইস কিংবদন্তি ৩১০ সপ্তাহ ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলেন। জকোভিচের পাশাপাশি ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছিলেন ভারতীয় তারকা রোহন বোপান্নাও। পুরুষদের ডাবলস ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে তিনি। এর আগে কোনও ভারতীয় টেনিস তারকা ডাবলসে শীর্ষস্থান অধিকার করতে পারেননি। সেক্ষেত্রে বোপান্নাও ইতিহাস গড়েছিলেন।