রাওয়ালপিণ্ডি: পাকিস্তানের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসেছে নিউজিল্যান্ড। রাওয়ালপিণ্ডিতে গতকাল টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে খেলতে নেমে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল কিউয়ি বাহিনী। কুড়ির ফর্ম্যাটে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের প্রথম শতরান হাঁকালেন মার্ক চাপম্য়ান। এই সেঞ্চুরির সঙ্গে সঙ্গেই নজিরও গড়লেন কিউয়ি ব্য়াটার। পাকিস্তানের মাটিতে সফরকারী দলের প্রথম কোনও ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শতরান হাঁকালেন চাপম্যান।

  


পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ১৯৪ রান তাড়়া করতে নেমে ১০ নম্বর ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭৩ রান বোর্ডে তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচ হারলে সিরিজও খোয়াতে হত। সেই পরিস্থিতি থেকে জিমি নিশামকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন চাপম্যান। পরের ৯.৩ ওভারে ১২১ রান বোর্ডে তুলে নেয় কিউয়িরা। এদিন পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নেমেছিলেন চাপম্যান। ৫৭ বলে অপরাজিত ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন কিউয়ি ব্য়াটার। নিজের ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান চাপম্যান। নিশাম ২৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। 


এর আগে পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান বোর্ডে তুলেছিল। ৬২ বলে ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মহম্মদ রিজওয়ান। বাবর আজম মাত্র ১৯ রান করেন। লোয়ার অর্ডারে ইফতিকার আহমেদ ২২ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। ইমাদ ওয়াসিম ১৪ বলে ৩১ রান করেন। 


প্রথম দু'টি ম্যাচে পাকিস্তান জিতলেও তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং অর্ডার ভেঙে পড়ে তাঁদের। চতুর্থ ম্যাচ শিলাবৃষ্টির কারণে বাতিল হয়ে যায়। তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের জয় প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু বল হাতে নিউজিল্যান্ডের বীরত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা তাদের তা রুখে দেয়। নিউজিল্যান্ডের বোলাররা দুর্দান্ত খেললেও দলের অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন আপ কিউইদের ঘন ঘন সমস্যায় ফেলছে। এদিনও টপ অর্ডার দ্রুত ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত চাপম্যান-নিশাম জুটি জয় এনে দেয় নিউজিল্য়ান্ডকে। 


রাহানের প্রত্যাবর্তন জাতীয় দলে


বড় মঞ্চে মেগা ডুয়েলের জন্য ফের একবার দুরন্তভাবে দলে ফিরলেন তিনি। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের (ICC World Test Championship 2023 Final) জন্য ভারতীয় স্কোয়াডে ফিরলেন আজিঙ্কা রাহানে (Ajinkya Rahane)। মাঝে প্রায় দেড় বছর ভারতীয় দলের বাইরে ছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। ২০২২ সালে জানুয়ারিতে শেষবার ভারতের হয়ে কোনও টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন জিঙ্ক্স।