দুবাই: একদিন শিশুদের জন্য।
ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের (ODI World Cup) মাঝেই মহৎ এক উদ্যোগে সামিল হচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। সঙ্গী ইউনিসেফ (UNICEF), ভারত ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড।
২ নভেম্বর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে মুখোমুখি ভারত ও শ্রীলঙ্কা। যে ম্যাচকে ঘিরে নস্ট্যালজিয়া সর্বস্তরে। কারণ, ১২ বছর আগে এই মাঠে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত। ফের সেই ওয়াংখেড়েতে ভারত-শ্রীলঙ্কা যুযুধান। আর সেই দিনটিকে বিশেষ এক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আরও স্মরণীয় করে রাখতে চায় আইসিসি।
বিশ্বের সমস্ত শিশুসন্তানদের উন্নয়নের জন্য দিনটিকে চিহ্নিত করল আইসিসি। সেদিন বিশেষ একটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হবে। যার অন্যতম, গোটা বিশ্বে শিশুসুরক্ষা, উন্নতি ও ছেলে এবং মেয়েদের সমান সুযোগের ব্যবস্থা। সেদিন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের গ্যালারি নীল হয়ে উঠবে। কীভাবে?
এমনিতেই ২ নভেম্বরের ম্যাচ হাউসফুল। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামনের সব টিকিট নিঃশেষ। গ্যালারির প্রত্যেকের হাতে থাকবে একটি এলইডি রিস্টব্যান্ড। গোটা স্টেডিয়ামেই সেদিন থাকবে নীল আলো। সেই আলোর সঙ্গে সঙ্গত করবে ওই এলইডি রিস্টব্যান্ড। 'ওয়ান ডে ফর চিলড্রেন' প্রকল্পে হাত মেলাবেন ভারত ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরাও। থাকবেন ইউনিসেফ ও আইসিসি-র দুই প্রচারদূত সচিন তেন্ডুলকর ও মুথাইয়া মুরলীধরন।
এই অভিযান থেকে যে অর্থ আয় হবে, তা ব্যয় করা হবে ইউনিসেফের শিশুদের নিয়ে করা বিভিন্ন কাজের খাতে। যে পরিকল্পনার লক্ষ্যই হল বিশ্বের সব শিশুকে সমান সুযোগ করে দেওয়া।
আইসিসি ও বিশ্বকাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টসের তরফে টিভির মাধ্যমে গোটা বিশ্বে দেখানো হবে সেই দৃশ্য। আইসিসি-র বিভিন্ন কমার্শিয়াল পার্টনাররা অনুদান দেবে এই প্রকল্পে।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দশ দেশের ক্রিকেটারেরা দশ শহরে আয়োজিত ক্লিনিক থেকে খুদেদের ব্যাট-বল বিতরণ করবেন। ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ১৫ লক্ষ স্কুলে এই প্রকল্পের প্রচার করবে। help.unicef.org ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীরাও অর্থ অনুদান দিতে পারবেন। সর্বনিম্ন ২ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দেড়শো টাকা) অনুদান দিতে পারবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ইউনিসেফের অন্যতম প্রচারদূত সচিন বলেছেন, 'খেলার মধ্যে দিয়ে এত বড় একটা প্রকল্পে যুক্ত হতে পেরে দুর্দান্ত লাগছে। শিশুসন্তান ও তাদের সুরক্ষার জন্য কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম আমার ঘরের মাঠ ও ইউনিসেফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারাটা দারুণ অভিজ্ঞতা।'
মুথাইয়া মুরলীধরন বলেছেন, 'আইসিসি ও ইউনিসেফ ওয়ান ডে ফর চিলড্রেন প্রকল্প নিয়েছে আর সেই প্রকল্পের অংশ হতে পেরে গর্ব অনুভব করছি। আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে এই উদ্যোগে সামিল হতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। '
আরও পড়ুন: ABP Exclusive: ধোনি বিশ্বকাপ জিতেছে, ওর কৃতিত্ব আমার চেয়েও বেশি, দরাজ প্রশংসায় সৌরভ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial