লখনউ: টুর্নামেন্টের আগেই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের পরই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন তিনি। তাই কি ব্যাট হাতে আরও সংকল্পবদ্ধ, দৃঢ়চেতা দেখাচ্ছে কুইন্টন ডি'কককে (Quinton de Kock)?
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঝকঝকে সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্রথম ম্যাচে ৪২৮ রান তুলে যে বিশ্বকাপে নতুন শিখর স্পর্শ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, তার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন। বৃহস্পতিবার লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে ফের ব্যাট হাতে শাসন করলেন ডি'কক। অস্ট্রেলিয়ার বোলিংকে তছনছ করে সেঞ্চুরি করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার (Aus vs SA) ব্যাটার। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ১০৬ বলে ১০৯ রানে আউট হন ডি'কক। তবে আউট হওয়ার মুহূর্তে কিছুটা দুর্ভাগ্য় তাড়া করে প্রোটিয়া ওপেনারকে। অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে তিনি রিভার্স স্যুইপ করতে গিয়েছিলেন। বল তাঁর গ্লাভসে লেগে উইকেট ভেঙে দেয়।
তবে আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বোলিংকে রীতিমতো উৎকণ্ঠায় রেখেছিলেন ডি'কক। যে বোলিং আক্রমণে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউডের মতো পেস ত্রয়ী। সঙ্গে ছন্দে থাকা স্পিনার অ্য়াডাম জ়াম্পা। শুরুটা করেছিলেন সতর্কভাবে। প্রথম ১২ বলে ৭ রান করেছিলেন। কিন্তু তারপরই স্বমূর্তি ধরেন ডি'কক। তাঁর ১০৯ রানের ইনিংসে রয়েছে ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা। ১০২.৮৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি।
ওয়ান ডে ক্রিকেটে এটা ডি'ককের ১৯তম শতরান। হার্শেল গিবস ও ফাফ ডুপ্লেসির পর তৃতীয় প্রোটিয়া ব্যাটার হিসাবে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করলেন ডি'কক। বিশ্বকাপে ২টি সেঞ্চুরি করে ধরে ফেললেন হার্শেল গিবস, ফাফ ডুপ্লেসি ও হাশিম আমলাকে। তিনজনেরই ওয়ান ডে বিশ্বকাপে দুটি করে সেঞ্চুরি রয়েছে। শীর্ষে এ বি ডিভিলিয়ার্স। বিশ্বকাপে ৪টি সেঞ্চুরি রয়েছে এবি-র।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার হিসাবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সংখ্যায় গ্রেম স্মিথ (১০) ও গ্যারি কার্স্টেনকে (১৩) আগেই পেরিয়ে গিয়েছিলেন। এদিন হার্শেল গিবসকেও (১৮) পেরিয়ে গেলেন ডি'কক। শীর্ষে হাসিম আমলা (২৭)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এটা তৃতীয় সেঞ্চুরি ডি'ককের।
আরও পড়ুন: ABP Exclusive: ধোনি বিশ্বকাপ জিতেছে, ওর কৃতিত্ব আমার চেয়েও বেশি, দরাজ প্রশংসায় সৌরভ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন