কলকাতা: মাস্টার ব্লাস্টারের রেকর্ড স্পর্শ করে উচ্ছ্বসিত চেজ়মাস্টার। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার (Ind vs SA) বিরুদ্ধে ১২১ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংসকে হয়তো কেরিয়ারের অন্যতম সেরা হিসাবে চিহ্নিত করে রাখবেন বিরাট কোহলিও। সে যতই দলের সেমিফাইনালের টিকিট কনফার্মড হয়ে যাক না কেন। এই ইডেন তো অজানা ইডেন। বল পড়ে থমকে আসছে। কোনও কোনও বল নীচু হচ্ছে। কোনও বল লাফাচ্ছে।


আর সেই পিচে সাধক-সম একাগ্রতা দেখিয়ে সেঞ্চুরি কোহলির। ৪৯ সেঞ্চুরি করে স্পর্শ করলেন সচিন তেন্ডুলকরের ওয়ান ডে কীর্তিও। ভারতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পর কোহলি বলেছেন, 'এই পিচে ব্যাট করা সহজ নয়। রোহিত আর শুভমন আমাদের শুরুটা দারুণ করে দেয়। আমার কাজ ছিল শুধু সেই ছন্দ ধরে রাখা। ১০ ওভারের পর থেকেই বল ঘুরতে শুরু করেছিল। বল পড়ে মন্থর গতিতে আসছিল। আমার লক্ষ্য ছিল যতক্ষণ সম্ভব ব্যাটিং করে যাওয়া। পার্টনারশিপ তৈরি করা। দল থেকেও সেই বার্তা আমাকে পাঠানো হয়েছিল। শ্রেয়স দারুণ ব্যাট করেছে আর শেষের দিকে কিছু রান বাড়তি পেয়েছি।'


তৃতীয় উইকেটে শ্রেয়সের সঙ্গে ১৩৪ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচের রাশ ভারতের হাতে তুলে দেন বিরাট। তাঁর কথায়, 'এশিয়া কাপের সময়ও আমাদের মধ্যে প্রচুর কথা হয়েছে। আমরা তিন ও চার নম্বরে ব্যাটিং করি। আজ এই পার্টনারশিপের প্রয়োজন ছিল। দলে হার্দিক নেই। তাই জানি দু-একটা উইকেট পড়ে গেলে সমস্যা হতো। আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ দেশের হয়ে খেলার আর অবদান রাখার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে। এই দারুণ মাঠে এত মানুষের সামনে জন্মদিনে সেঞ্চুরি করতে পারাটা দারুণ অনুভূতি। পিচ বেশ মন্থর। আমাদের বোলিংয়ের মান খুব ভাল। তবে পরিশ্রম করতে হবে। উইকেট তুলতে হবে।'


নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সহবাগ বিরাটকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সহবাগ লিখেছেন, ''সেঞ্চুরি হিমোগ্লোবিনের মতই ওর রক্তে দৌড়ায়। একটা তরুণ ছেলে চোখে প্রচুর স্বপ্ন নিয়ে এসে নিজের দক্ষতা, পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও প্রতিভাকে কাজে  লাগিয়ে এই খেলাটায় সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে। ওঠা-পড়া লেগেই থাকে। কিন্তু ওর ক্ষিদেটাই আসল ছিল। যা ওকে এতদূর এনেছে। জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা বিরাট।''


আরও পড়ুন: ODI World Cup Exclusive: দু'পা দৌড়ে অভিনব প্রস্তুতি, কীভাবে ব্যাটারদের আতঙ্ক হয়ে উঠলেন শামি?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন লপাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial