সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কে বলছে ইডেনে বিশ্বকাপ (ODI World Cup) চলছে?
প্রশ্ন করলে আপনাকে পাল্টা শুনতে হতে পারে, ক্রিকেট আদৌ দেখেন তো? বলা হবে, লক্ষ্মীপুজোর দিন বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস খেলে ফেলল ক্রিকেটের নন্দনকাননে। বাংলাদেশকে হারিয়ে যে ম্যাচকে আরও স্মরণীয় করে রেখেছেন ডাচরা। মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন শাকিব আল হাসানরা। আর বলে দিচ্ছেন বিশ্বকাপের রঙ লাগেনি ইডেনে?
প্রশ্নকর্তাকে ফের পাল্টা বলা হবে, আরে যে মাঠে এখনও ভারতই (Team India) খেলেনি, সেখানে আর কীসের বিশ্বকাপের বোধন? সিএবি-র অন্দরমহল থেকে শুরু করে ময়দানের আনাচ-কানাচে খোঁজ নিন। সর্বত্র এক নির্যাস। কলকাতায় বিশ্বকাপ তো শুরু হচ্ছে ৫ নভেম্বর। সেদিন অপ্রতিরোধ্য ভারতের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা। পয়মন্ত ইডেনে ফের নামবেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। আর থাকবেন কিংগ কোহলি। ও হো, ভুল লেখা হল। ৫ নভেম্বর কোহলি তো শুধু কিংগ নন, তিনি বার্থ ডে বয়-ও।
আর সেই মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে অভিনব সব উদ্যোগ নিচ্ছেন সিএবি কর্তারা। ৫ নভেম্বর ৩৫ বছর পূর্ণ করছেন কোহলি। সেদিন মাঠেই গ্র্যান্ড সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা সারা হয়ে গিয়েছে সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সচিব নরেশ ওঝা, যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস-সহ বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের।
কীরকম হবে বিরাট-বরণ উৎসব? সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস এবিপি আনন্দকে বলছিলেন, 'আমরা একটা কেক অর্ডার করেছি। ১০ পাউন্ডের কেক। সেটির বিশেষত্ব হল, বিরাটের ছবি থাকবে কেকে। বিরাটকে দিয়েই কেক কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে।' তবে কখন কেক কাটা হবে, ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে, নাকি দুই ইনিংসের বিরতিতে, অথবা ম্যাচ শেষের পর, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে আইসিসি-র সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। অনুমতি পেলে তবেই চূড়ান্ত হবে সময়সূচি।
কেক কাটার পাশাপাশি বার্থ ডে বয় বিরাটকে উপহারও দেবে সিএবি। কোহলির হাতে তুলে দেওয়া হবে বিশেষ এক স্মারক। সেটির নকশা নিয়ে আলোচনা চলছে। স্নেহাশিস জানালেন, বেশ কয়েকটি নকশার মধ্যে থেকে চূড়ান্ত করা হবে দু-একদিনের মধ্যেই। সেই সঙ্গে বললেন, 'বিরাটের জন্মদিন আর ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে আতসবাজির প্রদর্শনী হবে। তবে সেটি ম্যাচের মধ্যে না শেষ হওয়ার পর, সেটাও আলোচনা করে ঠিক হবে।'
আর থাকছে বিরাট-মুখোশ। মাঠে সেদিন প্রত্যেক ক্রিকেটপ্রেমীকে দেওয়া হবে কোহলির ছবি দেওয়া মুখোশ। ঠিক যেরকম দেওয়া হয়েছিল দশ বছর আগে সচিন তেন্ডুলকরের ১৯৯তম টেস্ট ম্যাচে। সচিন-বরণে রঙিন হয়ে উঠেছিল সিএবি। জগমোহন ডালমিয়া, বিশ্বরূপ দে, সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়দের আমলে কেরিয়ারের শেষ টেস্ট সিরিজের ম্য়াচ খেলতে নেমে সচিন দেখেছিলেন, গোটা গ্যালারি তাঁর মুখোশ পরে বসে রয়েছে।
সচিনের সেই অভিজ্ঞতা হতে চলেছে কোহলিরও। যেন এক সমাপতনেরও সাক্ষী থাকবে ৫ নভেম্বরের ইডেন। সচিনকেই তো নিজের গুরু মনে করেন কোহলি। সচিনকে দেখেই তো গেয়ে উঠেছিলেন, তুঝ মে রব দিখতা হ্যায়। কিংবদন্তির আদলেই এবার বিরাট-বরণের অপেক্ষা ইডেনে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ নিভল স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট, তারপরই চেঁচিয়ে উঠলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা, কে হলেন সেরা ফিল্ডার ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন