নয়াদিল্লি: কুস্তি তাঁর জীবন থেকে নিয়ে নিয়েছে ১২টা বছর। কঠোর পরিশ্রম, সংকল্প আর ঘামের বিনিময়ে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছে একটা অলিম্পিক মেডেল। সেই ছোট্টবেলা থেকে তো এই মেডেলেরই স্বপ্ন দেখেছেন সাক্ষী মালিক। তৃপ্ত সাক্ষী তাই ১২ বছর পর কুস্তিগীরের রুটিন ভাঙার সাহস দেখিয়েছেন। নিজের ইচ্ছেমত প্লেটবোঝাই খাবারদাবার নিয়ে গুছিয়ে বসেছেন ব্রেকফাস্ট টেবিলে।



রিওয় ৫৮ কেজি ফ্রিস্টাইলে ব্রোঞ্জ জিতেছেন সাক্ষী। এবারের অলিম্পিকে ভারতকে এনে দিয়েছেন প্রথম পদক। তাই একগাল হাসি নিয়ে খাবারের প্লেটের সামনে তাঁর ছবি একটুও বেমানান লাগে না।
অলিম্পিকের আঙিনায় ভারতকে গর্বিত করা আর ২ খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু ও দীপা কর্মকারও পেট ভরে খেয়েছেন তাঁদের পছন্দের খাবারদাবার। সিন্ধু ভালবাসেন হায়দরাবাদি বিরিয়ানি। কিন্তু কোচ গোপীচাঁদের কড়া নজরদারিতে খাবারে কার্বোহাইড্রেট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রিয় খাবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই বহুদিন। অলিম্পিকে রুপোজয়ী শাটলারের জন্য তাই মা বিজয়া নিজের হাতে তৈরি করেছেন বিরিয়ানি আর মাইসোরপাক মিঠাই। ছাত্রী পদক জিতে উঠলে গোপীও বলে দেন এবার ইচ্ছেমত মিষ্টি দই আর আইসক্রিম খেতে পারবেন তিনি।
বাদ নেই দীপা কর্মকারও। জিমন্যাস্টিক ভল্টে একটুর জন্য পদক হারানোর শোক সামান্য আবছা হলে ফাইনালের দুদিন পর অল্প করে মুখে তুলেছেন আইসক্রিম আর স্ট্রবেরি স্মুদি। ব্যস, তারপরেই গলা ব্যথা। হাসতে হাসতে তা নিজেই জানিয়েছেন দীপা ‘প্রোদুনোভা’ কর্মকার।