প্যারিস: ফুটবল মাঠে আর্জেন্তিনা বনাম ফ্রান্স (ARG vs FRA) সাক্ষাৎ মানেই যেন অশান্তি।


অলিম্পিক্সও সেই ছবিই দেখল। ভারতীয় সময় শুক্রবার মাঝরাতে শুরু হওয়া কোয়ার্টার ফাইাল ম্যাচে আর্জেন্তিনাকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। আর তারপর মাঠেই হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই দেশের ফুটবলাররা।


শুরুটা হয়েছিল ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালের পরে। ফ্রান্সকে ফাইনালে টাইব্রেকারে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন লিওনেল মেসিরা। যে ফাইনালকে অনেকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফাইনাল বলে মেনে নেন। অভিযোগ উঠেছিল, বিশ্বকাপ জেতার পর সেলিব্রেশনের সময় ফ্রান্সকে কটাক্ষ করে উৎসব করেছেন আর্জেন্তিনার ফুটবলাররা। দেশে ফিরে হুডখোলা বাসে চেপে শহর প্রদক্ষিণের সময় আর্জেন্তিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের হাতে দেখা গিয়েছিল কিলিয়ান এমবাপের একটি পুতুল। তা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম হয়েছিল।


সদ্য কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন লিওনেল মেসিরা। ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্তিনা। পরপর দুবার কোপা আমেরিকা জেতেন মেসিরা। সেই সঙ্গে রেকর্ড সংখ্যক, ১৬ বারের জন্য কোপা চ্যাম্পিয়ন হন লা আলবিসেলেস্তেরা। ভেঙে দেন উরুগুয়ের রেকর্ড। সেই সাফল্যের পরেও আর্জেন্তিনার সেলিব্রেশনে উঠে এসেছিল ফ্রান্স। ড্রেসিংরুমে ফ্রান্সের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষমূলক গান গাওয়ার অভিযোগ ওঠে এঞ্জো ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে। পরে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন আর্জেন্তিনার ফুটবলার।


তারপরই প্যারিসে অলিম্পিক্স ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্তিনা ও ফ্রান্স। বিশ্বকাপের ফাইনালের পর ফের একবার যুযুধান দুই দেশ। হাইভোল্টেজ সেই ম্যাচে আর্জেন্তিনাকে ১-০ গোলে হারায় ফ্রান্স। 


বুর্দুতে সেই ম্যাচের পর মাঠে, টানেলে সংঘর্ষে জড়ান দুই দলের ফুটবলাররা। কিক অফের আগে আর্জেন্তিনার জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময়ই গ্যালারি থেকে বিদ্রুপ করা হয়। সেই থেকে উত্তেজনার সূত্রপাত। ম্যাচের ৫ মিনিটে কর্নার শটে হেডে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন মাতেতা। ৮৪ মিনিটে ওলিস একটি গোল করলেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। শেষ মুহূর্তে দুটি সোনার সুযোগ নষ্ট করায় ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেননি কোচ হাভিয়ের মাসচেরানোর ছেলেরা। সেমিফাইনালে মিশরের মুখোমুখি হবে আয়োজক ফ্রান্স।


১২ মিনিট সংযোজিত সময় দেন রেফারি। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফ্রান্স শিবির। মাঠেই দুই দলের ফুটবলাররা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেন। তাতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ফ্রান্সের কোচ থিয়েরি অঁরিও। আর্জেন্তিনার ফুটবলারদের মেরে লাল কার্ড দেখেন ফ্রান্সের এনজো মিলোত। যিনি সেই সময় রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন। সেমিফাইনালে তাঁকে পাবে না ফ্রান্স।


আরও পড়ুন: পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, শক্তিশালী প্রতিপক্ষের কাঁটা উপড়ে সেমিফাইনালে লক্ষ্য


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।