প্যারিস: অলিম্পিক্সে টেনিসে পুরুষদের সিঙ্গলসে নাদালকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দিলেন জকোভিচ (Djokovic)। স্প্যানিশ তারকার পয়া ক্লে কোর্টেই তাঁকে হারিয়ে দিলেন সার্বিয়ান টেনিসের কিংবদন্তি। ২৪ গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী জোকার ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে নিলেন ৬-১, ৬-৪ ব্যবধানে। এই সঙ্গে পৌঁছে গেলেন সিঙ্গলসের তৃতীয় রাউন্ডে। লাল সুরকির কোর্টে ১৪ বার গ্র্যান্ডস্লাম জেতা নাদাল যেন ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছেন টেনিস থেকে।
বয়স থাবা বসিয়েছে পারফরম্য়ান্স বিগত কয়েক বছরে। চোটের জন্য খেলা হয়নি উইম্বলডনও। কিন্তু অলিম্পিক্সকে পাখির চোখ করেছিলেন রাফায়েল নাদাল। নিজেও আভাস দিয়েছিলেন যে এবারের অলিম্পিক্সই হয়ত হতে পারে তাঁর শেষ বড় টুর্নামেন্ট। এদিন জোকারের বিরুদ্ধে একপ্রকার একপেশে লড়াইয়ে হারলেন স্প্যানিশ টেনিসের মায়েস্ত্রো। মাত্র ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের লড়াই হল টেনিসের ২ কিংবদন্তির। প্রথম সেটে মাত্র ৩৯ মিনিটে জয় ছিনিয়ে নেওয়া জকোভিচকে কিছুটা বেগ দ্বিতীয় সেটে দিয়েছিলেন নাদাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হারই মানতে হল তাঁকে।
এই ম্য়াচের আগে মোট ৫৯ বার পরস্পর মুখোমুখি হয়েছিলেন নাদাল ও জোকার। সার্বিয়ান টেনিস তারকা ৩০-২৯ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। এই ম্য়াচের পর সংখ্যাটা ৩১-২৯ হয়ে গেল। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সের সেমিতে জোকারকে হারিয়েছিলেন নাদাল। সেবার সোনাও জিতেছিলেন স্প্যানিশ তারকা। আলকারাজের সঙ্গে জুটি বেঁধে পুরুষদের ডাবলসে জয়ের পরই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন যে আদৌ তিনি খেলতে নামতে পারবেন কি না সিঙ্গলসে। কিন্তু ফুকসোভিচের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তবে জকোভিচের সামনে আটকে যেতে হল ২০ গ্র্যান্ডস্লামের মালিককে।
এদিকে, অলিম্পিক্সের মঞ্চে নামার আগে উইম্বলডন ফাইনালে হারতে হয়েছিল নোভাক জকোভিচকে। খেতাবি লড়াইয়ে কার্লোস আলকারাজের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল সার্বিয়ান তারকাকে। ২০২৩ মরশুমের উইম্বলডনেও ফাইনালে এই আলকারাজের বিরুদ্ধেই আটকে গিয়েছিলেন জোকার। কেরিয়ারের ২৫ তম গ্র্যান্ডস্লামের অপেক্ষা বাড়ছে। কিন্তু এরই মধ্যে অলিম্পিক্সের মঞ্চে নিজের সেরাটা দিয়ে যাচ্ছেন জকেভিচ। এখানে সোনা জয়ই সার্বিয়ান তারকার একমাত্র লক্ষ্য এখন।