টোকিও: ভারোত্তোলনে রুপো জিতে গোটা দেশকে গর্ব করার মতো মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে এবার মীরাবাঈ চানুর সামনে আরও বড় সুযোগ। তাঁর রুপোর পদক বদলে যেতে পারে সোনায়!


কীভাবে জানেন?


কারণ, ৪৯ কেজি বিভাগে সোনা জিতেছিলেন চিনের হাউ ঝিহুই। তবে ডোপ পরীক্ষার জন্য তাঁকে টোকিও ছাড়তে বারণ করা হয়েছে। ডোপ পরীক্ষায় ঝিহুই ব্যর্থ হলে নিয়ম অনুযায়ী রুপোজয়ী চানুকে সোনার পদক দিয়ে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ঝিহুইয়ের পদক কেড়ে নেওয়া হবে।


ভারোত্তোলনে স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ২০২ কেজি ওজন তুলে রুপো জিতেছিলেন মীরাবাঈ চানু। মহিলাদের ৪৯ কেজি বিভাগে প্রথমে স্ন্যাচে ৮৭ কেজি ওজন তোলেন ভারতীয় ভারত্তোলক। পরে ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে ১১৫ কেজি ওজন তোলেন তিনি। সব মিলিয়ে ২০২ কেজি ওজন তোলেন মীরাবাঈ চানু।


ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৭ কেজি তোলার চেষ্টা করেছিলেন মীরাবাঈ চানু। কিন্তু ব্যর্থ হন। তবু রুপোর পদক জয় নিশ্চিত করে ফেলেন তিনি। ৪৯ কেজি বিভাগে সোনা জেতেন চিনের হাউ ঝিহুই। স্ন্যাচে ৯৪ কেজি ওজন তুলে অলিম্পিক্স রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৬ কেজি ওজন তুলেও অলিম্পিক্সে নতুন রেকর্ড গড়েন তিনি। সব মিলিয়ে ২১০ কেজি ওজন তোলেন চিনের ভারত্তোলক। যা অলিম্পিক্স রেকর্ড।


২০১৭ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন মীরাবাঈ চানু। তারপর থেকেই অলিম্পিক্সে তাঁকে পদক জয়ের দৌড়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। চানু দেখিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর ওপর ভরসা করে ভুল কিছু করেননি বিশেষজ্ঞরা। এর আগে ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিক্সে ভারোত্তোলনে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন কর্ণম মালেশ্বরী। তাঁর ২১ বছর পর পদক জিতলেন চানু।


অলিম্পিক্সের জন্য টোকিও রওনা হওয়ার আগে চানু এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'আমার সব ভাইয়েরাই ফুটবল খেলত। সারাদিন খেলার পর যখন বাড়ি ফিরত, গোটা শরীর কর্দমাক্ত। আমি চাইতাম এমন একটা খেলা খেলব, যেটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। আমি চাইতাম তিরন্দাজ হব। তিরন্দাজরা সাফসুতরো থাকে, খুব স্টাইলিশও হয়।'