টোকিও: সকালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪-৩ গোলে হারানোর পর থেকেই শুরু হয়েছিল উদ্বেগের প্রহর। ভারতীয় মহিলা হকি দলের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নির্ভর করেছিল সন্ধ্যায় গ্রেট ব্রিটেন বনাম আয়ার্ল্যান্ড ম্যাচের ওপর। সেই ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গ্রেট ব্রিটেন আইরিশদের ২-০ গোলে পরাস্ত করতেই খুশির আবহ ভারতীয় শিবিরে। শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গেল রানি রামপালদের। ৪১ বছর পর অলিম্পিক্সে হকির কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ভারতের মহিলা দল। এর আগে ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিক্সে সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারতের মহিলা হকি দল। তবে সেবার চতুর্থ হয়ে প্রতিযোগিতা শেষ করেছিল ভারত।


শনিবার সকালে অলিম্পিক্সে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছিল ভারতীয় মহিলা হকি দল। গ্রুপ লিগের খেলায় দুরন্ত পারফরম্যান্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেয়েছিলেন মহিলারা। ৪-৩ গোলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার আশা জিইয়ে রেখেছিলেন রানি রামপালরা।


টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতীয় মহিলা হকি টিমের শুরুটা ভাল না হলেও পরের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মহিলা হকি টিম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শনিবার ম্যাচের শুরুতেই বন্দনা কাতারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় ভারত। এরপর যদিও সমতা ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ফের এগিয়ে যায় ভারতীয় দল।


এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন বন্দনা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চারটি গোলের মধ্যে তিনটি গোলই করেন তিনি। বাকি একটি গোল করেন নেহা গয়াল। শনিবারই গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ার্ল্যান্ডের ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচে আইরিশরা জিতে গেলে ছিটকে যেত ভারত। কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি। ফেভারিট হিসাবে মাঠে নামা গ্রেট ব্রিটেন ২-০ গোলে আয়ার্ল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়।


৬ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপের চতুর্থ দল হিসাবে শেষ আটে পৌঁছল ভারত। সোমবার কোয়ার্টার ফাইনালে রানি রামপালদের সামনে পুল এ-র চ্য়াম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। যে ম্যাচে আন্ডারডগ হিসাবেই শুরু করবে ভারত। জিতলে সেটা হবে বড়সড় অঘটন। এখন থেকেই অবশ্য গোটা দেশ অঘটনের প্রার্থনায়।