টোকিও: অলিম্পিক্সে হেভিওয়েট বক্সিংয়ের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেলেও মন জিতে নিলেন সতীশ কুমার। রক্তাক্ত অবস্থাতেও নাছোড় লড়াই করার জন্য।
হেভিওয়েট বক্সিংয়ের (৯১ কেজি বিভাগ) কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সতীশের রিংয়ে নামা নিয়েই প্রবল সংশয় ছিল। কারণ, শেষ ষোলোর ম্য়াচে ডান চোখের ঠিক ওপরে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন ভারতীয় বক্সার। উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল শেষ ষোলোর ম্যাচের পরই। সেই ম্যাচ জিতলেও, প্রতিপক্ষের মারে মুখ ফেটেছিল ভারতের হেভিওয়েট বক্সার সতীশ কুমারের। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, সাত-সাতটি সেলাই পড়ে তাঁর ক্ষতস্থানে।
ভারতীয় সমর্থকেরা অবশ্য তাঁর সুস্থতার পাশাপাশি আরও একটি কারণে উদ্বেগে ছিলেন। কারণ, ভারতীয় বক্সিং সংস্থার শীর্ষকর্তা জানিয়েছিলেন যে, কোয়ার্টার ফাইনালে সতীশের নামা নির্ভর করছে চিকিৎসকদের অনুমতির ওপর। যদি চিকিৎসকেরা তাঁকে ফিট সার্টিফিকেট দেন, তবেই শেষ আটের ম্যাচে নামতে পারবেন ভারতীয় বক্সার।
শেষ পর্যন্ত উদ্বেগ মুক্তি ঘটে। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন যে, কোয়ার্টার ফাইনালে নামতে পারবেন সতীশ।
পদক জয়ের সম্ভাবনা ছিল ভারতীয় বক্সারের। কারণ, কোয়ার্টার ফাইনাল জিতলেই তিনি ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করে ফেলতেন। যদিও কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করে ছিল সতীশের জন্য। কারণ, তাঁকে লড়াই করতে হল জোড়া প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রধান প্রতিপক্ষ যদি হন উজবেকিস্তানের বাখোদির জালোলভ, তবে দ্বিতীয় অবশ্যই গুরুতর চোট। তার ওপর জালোলভ বিশ্ব ও এশীয় চ্যাম্পিয়ন। শেষ ষোলোর ম্যাচে আজেরবাইজানের মহম্মদ আবদুল্লায়েভকে ৫-০ উড়িয়ে দিয়েছেন। সতীশ কোনওদিন জালোলভকে হারাতে পারেননি। দুজনের শেষ সাক্ষৎ হয়েছিল ইন্ডিয়া ওপেনে। সেখানে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত হেরে যান সতীশ।
ম্যাচে অবশ্য প্রবল লড়াই করলেন সতীশ। প্রথম রাউন্ডে হারলেও খুব একটা পিছিয়ে ছিলেন না। দ্বিতীয় রাউন্ডেও সমান তালে লড়াই করলেন। প্রতিপক্ষের ঘুষিতে চোট পাওয়া জায়গা থেকে রক্তপাত শুরু হয়। কিন্তু হাল ছাড়েননি সতীশ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারলেও তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ করছে গোটা বিশ্ব।