নয়াদিল্লি: ২ এপ্রিল, ২০১১। দিনটা এখনও ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে স্মরণীয়। ৯ বছর পরেও তাঁরা এই দিনে স্মৃতির পাতা ওল্টাচ্ছেন। সেইদিন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। ২৮ বছর পর ফের বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। কপিল দেবের সঙ্গে একাসনে বসে পড়েছিলেন ধোনি। তাঁর নেতৃত্বে ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর একদিনের বিশ্বকাপও জেতে ভারত।

সেবারের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। তারা টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে মাহেলা জয়বর্ধনের দুরন্ত শতরানের সুবাদে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান তোলে। ৮৮ বলে ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন জয়বর্ধনে। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৩টি বাউন্ডারি।

দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে ২৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতা ভারতীয় দলের কাছে সহজ ছিল না। দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ সামাল দেওয়া যথেষ্ট কঠিন ছিল। শুরুতেই ফিরে যান দুই ওপেনার সচিন তেন্ডুলকর ও বীরেন্দ্র সহবাগ। ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। সেখান থেকে পাল্টা লড়াই শুরু করেন গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলি। তাঁদের জুটিতে যোগ হয় মূল্যবান ৮৩ রান। জেতার জন্য যখন আরও ১৬১ রান দরকার, সেই সময় ফিরে যান বিরাট। এরপর ব্যাট করতে নামার কথা ছিল সেই বিশ্বকাপে স্বপ্নের ফর্মে থাকা যুবরাজ সিংহের। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ক্রিজে যান ধোনি। তিনি এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত সেই বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ভাল ফর্মে ছিলেন না। কিন্তু আসল সময়ে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে দলকে জেতান। গম্ভীর ৯৭ রান করে আউট হয়ে গেলেও, ধোনি ৯১ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। তাঁর ছক্কা মেরে ব্যাট ঘোরানো ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা মুহূর্ত।

ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দল অনেক সাফল্য পেয়েছে। টি-২০ বিশ্বকাপ ছাড়াও ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে ভারত। তবে সেরা সাফল্য অবশ্যই ৯ বছর আগে আজকের দিনে এসেছিল।