জোহানেসবার্গ: প্রথম দুটি টেস্টে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার সফরে ইতিমধ্যেই সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে ভারতের। ২-০ তে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই অবস্থায় আগামী ২৪ জানুয়ারি জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে সিরিজের শেষ টেস্ট খেলতে নামবে ভারত। নিয়মরক্ষায় এই ম্যাচে মর্যাদা রক্ষাই এখন লক্ষ্য আইসিসি-র ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থানে থাকা দল ভারতের। অন্যদিকে, ওয়ান্ডারার্সের প্রাণবন্ত পিচে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করাই তাঁদের লক্ষ্য বলে জানিয়েন প্রোটিয়া পেসার কাসিগো রাবাডা।
সিরিজে বল হাতে দলের হয়ে উজ্জ্বল ভূমিকা নিয়েছেন রাবাডা। নিউল্যান্ডসে প্রথম টেস্টে ম্যাচ জেতানো বোলিং করেছেন তিনি।
রাবাডা বলেছেন, আমরা ফাস্ট বল কীভাবে খেলতে হয় জানি। ওদের বোলিং আক্রমণকে আমরা সমীহ করি। যে কোনও খেলায় কোনও দল জিততেই চাইবে। তাই আমরাও চাইব ভারতকে হোয়াইট ওয়াশ করতে।
রাবাডা আরও বলেছেন, ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ অনেক বেশি বিরাট কোহলির ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেছেন, আমার মনে হয় যে ওরা কোহলির ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু আমরা কয়েকজন প্লেয়ারের ওপর নির্ভরশীল। আমি বলছি না যে, ভারতের কোনও ভালো মানের খেলোয়াড় নেই। কিন্তু কোহলির ব্যাট থেকেই ওদের বেশিরভাগ রান এসেছে।
ওয়ার্ন্ডারার্সে কোহলির ব্যাটে রান আটকানোই যে তাঁদের প্রথম লক্ষ্য তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন রাবাডা। তিনি বলেছেন, ওর মতো ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বোলিং খুবই উপভোগ্য। আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছে ও। এমন একজন সেরারক বিরুদ্ধে বল করাটা দারুণ ব্যাপার।
সিরিজের আগে ভারতের প্রস্তুতি কি যথাযথ হয়নি? এই প্রশ্নের উত্তরে রাবাডা বলেছেন, এ ব্যাপারে আমাদের কোনও মাথাব্যাথা নেই। ওদের সবাইকে আউট করা এবং ম্যাচ জেতাটাই আমাদের লক্ষ্য।
ভারতীয় পেসারদের বোলিং নিয়ে প্রশংসা শোনা গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ বোলারের গলায়। তিনি বলেছেন, ওয়ান্ডারার্সে ফাস্ট বোলাররা বল করতে মুখিয়ে থাকবে। কারণ, এখানে পেস, বাউন্স ও সুইং থাকে। বুমরাহ দারুণ বোলার। ও ইতিমধ্যেই বোলিং ওপেন করেছে। সিরিজে এখনও পর্যন্ত ও খুব ভালো বল করেছে।
মহম্মদ শামি অভিজ্ঞ এবং বলে গতিও রয়েছে। এছাড়াও ওদের উমেশ যাদব ও ভূবনেশ্বর কুমারের মতো বোলার রয়েছে।