সিডনি: কার্যত খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যাওয়া প্রতিপক্ষ। সঙ্গে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ইতিহাস। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (Kane Williamson) হয়তো পুরোপুরি চাপমুক্ত থাকতে পারছিলেন না।


যে চাপ কয়েক গুণ বেড়ে যায় পাকিস্তানের বোলারদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে। পাক পেসারদের সামনে শুরুতেই কেঁপে যায় নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং। ৫০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন কিউয়িরা।


তবু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো স্কোর বোর্ডে তুলল নিউজিল্যান্ড। সৌজন্যে, ডারিল মিচেল ও কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট হাতে প্রতিরোধ। ৪২ বলে ৪৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেন উইলিয়ামসন। আর ডারিল মিচেল করলেন ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড তুলল ১৫২/৪।


সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের উদ্বোধনী ম্যাচে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন কিউয়ি ব্যাটসম্যানেরা। মনে করা হয়েছিল, বুধবারও প্রথমে ব্যাট করে পাক বোলারদের একইভাবে শাসন করবেন কিউয়ি তারকারা।


কিন্তু ম্যাচে হল ঠিক উল্টো। প্রথমার্ধে পাক বোলারদের সামনে মাথা তুলতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের কেউই। প্রথম ওভারেই নাটক। প্রথম বলেই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বাউন্ডারি ফিন অ্যালেনের। দ্বিতীয় বলে তাঁকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। তবে ডিআরএস নেন ফিন। দেখা যায়, বল তাঁর ব্যাটে লেগে তারপর প্যাডে লেগেছে। পরের বলে ফের তাঁকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও এবার জীবনরক্ষা হয়নি ফিনের। ফেরেন ৪ রান করে। ১ ওভারের শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৬/১।


 




তারপর রান আউট হয়ে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। দুরন্ত ছন্দে থাকা গ্লেন ফিলিপসও উইকেটে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৪৯/৩ হয়ে যাওয়ার পর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইলিয়ামসন ও ডারিল মিচেল। উইলিয়ামসন ফিরলেও মিচেল ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাক বোলারদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি ২ উইকেট নেন। একটি উইকেট মহম্মদ নওয়াজের।


আরও পড়ুন: সেমিফাইনালের দলে পরিবর্তন? কী ইঙ্গিত দিলেন রোহিতদের হেড কোচ দ্রাবিড়?