ক্রাইস্টচার্চ: ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে (PAK vs NZ) পাঁচ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল পাকিস্তান। দলের সিরিজ জয়ের পিছনে নায়ক মহম্মদ নওয়াজ Mohammad Nawaz) এবং হায়দার আলির (Haider Ali) আগুনে ব্যাটিং। বিশ্বকাপের আগেই এই জয় পাকিস্তান দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্যই করবে।


ফর্মে ফিরলেন উইলিয়ামসন


এদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ দুই কিউয়ি ওপেনার ফিন অ্যালেন (১২) ও ডেভন কনওয়েকে (১৪) অল্প রানেই সাজঘরে ফেরত পাঠান। তবে কিউয়ি ইনিংসের হাল ধরেন কেন উইলিয়ামসন ও গ্লেন ফিলিপ্স। তৃতীয় উইকেটে ৫০ রান যোগ করেন দুইজনে। ফিলিপ্স ২৯ রানে আউট হয়ে গেলেও উইলিয়ামসন নিজের খেলা চালিয়ে যান। বহুদিন ধরেই রান না পাওয়ায় সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল উইলিয়ামসনকে। তবে এদিন কিউয়ি অধিনায়ক অর্ধশতরানের সুন্দর একটি ইনিংস খেলেন। মূলত তাঁর ব্যাটে ভর করেই সাত উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।


 






দুরন্ত নওয়াজ


রউফ এবং নাসিম এদিন দুইটি করে উইকেট নেন। জবাবে শুরুটা খুব একটা ভাল করতে পারেনি পাকিস্তান। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরানের পার্টনারশিপ গড়লেও, এদিন ২৯ রানেই ভাঙে পাকিস্তানের ওপেনিং পার্টনারশিপ। বাবর আজম মাত্র ১৫ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। মহম্মদ রিজওয়ান অবশ্য ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। তবে দলের রানের গতি কম থাকায় মহম্মদ নওয়াজকে ফের একবার উপরের দিকে ব্যাট হাতে নামানো হয়। ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন নওয়াজ। এদিনও তিনি ২২ বলে ৩৮ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি।


নওয়াজকে প্রথমে হায়দার আলি এবং পরে ইফতিখার আহমেদ যোগ্য সঙ্গ দেন। হায়দার ১৫ বলে ৩১ ও ইফতিখার ১৪ বলে ২৫ রান করেন। তিন বল বাকে থাকতেই ম্যাচও জিতে নেয় পাকিস্তান। বল হাতে মাইকেল ব্রেসওয়েল মাত্র ১৪ রান খরচ করে দুই উইকেট নেন। তাঁকেই সিরিজ সেরা যোঘণা করা হয়। তবে ব্রেসওয়েলের বোলিং তথা কেন উইলিয়ামসনের অর্ধশতরান, দুইই জলে গেল। 


আরও পড়ুন: একইদিনে বিরাট ও রোহিতের রেকর্ড ভাঙলেন বাবর আজম