কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামকে। ২০০৯-এর মার্চে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আন্তর্জাতিক ম্যাচ হল পাকিস্তানে। এই ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেট অনুরাগীদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। আইসিসি এই টি ২০ সিরিজকে আন্তর্জাতিক ম্যাচের মর্যাদা দিয়েছে।
ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে থেকেই মোতায়েন করা হয় ৯০০০ পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী। দুই দলের খেলোয়াড়দের হোটেল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য নিয়ে আসা হয় স্টেডিয়ামে।
নিরাপত্তার এই কড়াকড়ি অবশ্য ক্রিকেট অনুরাগীদের উচ্ছ্বাসে কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি। ক্রিকেট-পাগল দেশের দর্শকরা তারিয়ে উপভোগ করেছেন খেলা।
টস জিতে প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান বিশ্ব একাদশের অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিস। বাবর আজমের ৫২ বলে ৮৬ রানে ভর করে পাকিস্তান ৫ উইকেটে ১৯৭ রান করে। শেষদিকে শোয়েব মালিক ২০ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বিশ্ব একাদশ। শেষপর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৭৭ রানেই থেমে যায় বিশ্ব একাদশের ইনিংস। পাকিস্তান জেতে ২০ রানে।
তবে জয়-পরাজয় নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট অনুরাগীদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল তাদের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন।