নয়াদিল্লি: ঘরের মাটিতে আনকোরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমকে ৩-০ ফলে পর্যুদস্ত করে টি২০ আন্তর্জাতিক টিমের ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান দখলে রাখায় সফল পাকিস্তান। বহুদিন বাদে পাকিস্তানে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ২০০৯ সালে পাকিস্তানে খেলতে আসা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিমের ওপর জঙ্গি হামলার পর সে দেশে আসতে চাইত না কোনও ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) শেষ দফার ম্যাচগুলিও পাকিস্তানের মাটিতেই হয়েছে। তারপরই এল ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পুরোদমে আবার চালু হওয়ার ভাল পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছে পাকিস্তান।

এমনিতেই টি- ২০ ফর্ম্যাটে পাকিস্তানের উজ্জ্বল রেকর্ড। টানা সাতটি টি-২০ আন্তর্জাতিক সিরিজ জিতেছে তারা। বিপক্ষের টিমগুলি কতটা শক্তিশালী, সেই প্রশ্ন উঠলেও পাকিস্তানের সাফল্য সম্পর্কে কোনও সংশয় নেই। প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার তথা কোচ ওয়াকার ইউনিসের ব্যাখ্যা, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) না খেলার কারণেই তাঁদের টিম আন্তর্জাতিক টি ২০ ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে।

তাঁকে উদ্ধৃত করে পাক মিডিয়ায় বলা হয়েছে, টি-২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমাদের টিম এক নম্বর হওয়ার কারণ আমাদের ছেলেরা আইপিএলে খেলে না। সেজন্য ওরা মাটির কাছাকাছি আছে, মাথা ঘুরে যায়নি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চায়। বাচ্চা অবস্থায় খেলা শুরুর সময় তো একটা ছেলে ভাবে না, ক্রিকেট খেলে কোটি কোটি টাকা কামাব, বরং ভালবাসে বলেই ক্রিকেটটা খেলে।

সামগ্রিক ভাবে ক্রিকেট সম্পর্কে পরিবর্তিত ধারণার কড়া সমালোচনা করে প্রাক্তন পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার বলেন, পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলে পাবে মাত্র ২৫ হাজার ডলার, আর আইপিএলে একটা ক্রিকেটার ২০ লাখ ডলার আয় করতে পারে। তাই তার কাছে আইপিএলই অগ্রাধিকার পায়। তাছাড়া এখন ক্রিকেটে প্রচুর টাকা। কয়েকটা লিগও গজিয়ে উঠেছে যেখানে টাকা আছে। ক্রিকেট বোর্ডগুলিকেই দায়িত্ব নিয়ে সুনিশ্চিত করতে হবে যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবে না।