নয়াদিল্লি: পাকিস্তান ক্রিকেট টিমে ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ! চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের এই বিশ্বত্রাস সৃষ্টিকারী ফাস্ট বোলার জানিয়েছেন, গত দশকে পাকিস্তান দলের একমাত্র হিন্দু ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়ার সঙ্গে ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। ‘গেম অন হ্যায়’ নামে পাকিস্তানের একটি টিভি শো-তে শোয়েইব বলেছেন, আমার কেরিয়ারে যে কতবার আমাকে করাচি, পঞ্জাব, পেশোয়ারের মতো ব্যাপারে তর্ক করতে হয়েছে, মনে পড়লে রাগ হয়। দানিশ কানেরিয়ার মতো হিন্দু খেলোয়াড়দের ‘কেন এখানে (আমাদের সঙ্গে) খেতে বসেছ?’র মতো প্রশ্ন করা হয়েছে। আমি ওই ক্রিকেটারদের পাল্টা বলতাম, তোমার ঘর থেকে খাবার নিয়ে তোমাকেই বাইরে খেতে বাধ্য করা হলে তোমার কেমন লাগবে?
পাকিস্তান টিমের অনেকেই কানেরিয়াকে তাঁর ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য দলে চাইত না, তাঁকে কখনই পারফরম্যান্সের জন্য প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি, লাগাতার তাঁকে সতীর্থদের কটাক্ষ, বিদ্রূপ শুনতে হত বলেও অভিযোগ করেছেন শোয়েইব। জানিয়েছেন, কেউ কেউ তো কানেরিয়ার সঙ্গে খাবার ভাগ করে খেতেও রাজি হতেন না। এমন ব্যবহারে তিনি রেগে যেতেন। ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলা কানেরিয়া দ্বিতীয় হিন্দু ক্রিকেটার, যিনি সেদেশের জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর আগে আটের দশকে পাক দলে জায়গা পেয়েছিলেন উইকেটকিপার অনিল দলপত।
কানেরিয়া ২৬১টি টেস্ট উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। সব ধরনের স্পিন বোলিংয়ের দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও আবদুল কাদির, মুস্তাক আহমেদের মতো উচ্চতায় উঠতে পারেননি। কানেরিয়াকে ২০১২-য় ম্যাচ গড়াপেটার ঘটনায় দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পাক ক্রিকেট বোর্ড। যবনিকা পড়ে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে।