করাচি: আগামী রিও অলিম্পিকে পাকিস্তানের যে দল যাচ্ছে তাতে খেলোয়াড়দের চেয়ে আধিকারিকদের সংখ্যা বেশি। এই তথ্য থেকেই পাকিস্তানের ক্রীড়াক্ষেত্রে দৈন্যদশার ছবিটা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। এবারের অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি পাকিস্তানের হকি দল। তাই পাক দলে সদস্য সংখ্যা অনেকটাই কম। মাত্র ১৮ জনের দল যাচ্ছে রিওতে। এরমধ্যে আধিকারিকদের সংখ্যাই ১১ জন। খেলোয়াড় মাত্র ৭ জন।

অ্যাথলিটদের মধ্যে রয়েছেন সাঁতারু লিয়ান্না সওয়ান, হ্যারিস বান্দে। এই দুজনই বিদেশে থাকেন। আবার জুডোকা শাহ হুসেনও টোকিওতে থাকেন। এছাড়াও পাক দলে রয়েছেন শ্যুটার গুলাম মুস্তাফা ও মিনহাল সোহেল এবং দুই স্প্রিন্টার।

পাকিস্তানের এই সাত অ্যাথলিটই রিও অলিম্পিকে প্রতিযোগিতায় নামার জন্য ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি পেয়েছেন। কেননা, কোনও ক্রীড়া ইভেন্টেই কোনও পাক অ্যাথলিট রিও অলিম্পিকে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি।

হকি ছাড়া পাকিস্তানের অলিম্পিক মেডেল এসেছে বক্সিং থেকে। ১৯৯৮-এ ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন হুসেন শাহ। কিন্তু এবার তাদের কোনও বক্সারই অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এবার বক্সিংয়ে যিনি ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি পেয়েছেন সেই জুডোকা শাহ হুসেন হলেন হুসেন শাহর ছেলে।

ক্রীড়াক্ষেত্রের এই হতদরিত্র চেহারার জন্য পাক অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আরিফ হাসান দেশের ক্রীড়া বোর্ডকে দুষেছেন। পাক হকি দলের এবার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারাটাই সবচেয়ে হতাশাজনক বলে মনে করছেন তিনি। এই প্রথম অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হল হকি দল।