পাকিস্তানের হয়ে ৪৬টি টেস্ট, ২৬৫টি একদিনের ম্যাচ, ৩২টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা রজ্জাকের মতে, সবটাই কঠিন পরিশ্রমের ব্যাপার। খেলার পিছনে যথেষ্ট সময় না দিলে একটা দূরত্ব তৈরি হয়। ওকে শারীরিক, মানসিক ভাবে আরও ভাল তৈরি হতে হবে। ইদানিং বেশ চোট-আঘাতে ভুগছে (গত বছর পিঠে সার্জারি করতে হয়েছে)। আসলে প্রচুর পয়সা হাতে এসে গেলে আরাম করার প্রবণতা তৈরি হয়। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের এটা হয়। মহম্মদ আমির বেশি না খাটায় পারফর্ম্যান্স খারাপ হয়েছে।
এরপরই রজ্জাক বলে বসেন, কপিল দেব, ইমরান খান সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার। হার্দিক ওদের ধারেকাছে কোথাও নেই। আমিও অলরাউন্ডার ছিলাম, কিন্তু সেজন্য আমি ইমরান ভাইয়ের সঙ্গে নিশ্চয়ই নিজের তুলনা করব না। কপিল পাজি, ইমরান ভাই অন্য স্তরের।
রজ্জাক যশপ্রীত বুমরাকে তাঁর সময়ের ফাস্ট বোলারদের কাছে ‘বাচ্চা’ বলায়ও বেশ শোরগোল হয়েছিল। যদিও ২০১৬-য় ভারতের হয়ে খেলা শুরু করে সব ধরনের ফর্ম্যাটে ব্যাটসম্যানের ত্রাস হয়ে উঠেছেন বুমরা। রজ্জাকের দাবি, তাঁর মন্তব্যের ভুল মানে করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, বুমরার বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। শুধু গ্লেন ম্যাকগ্রা, ওয়াসিম আক্রাম, কার্টলি অ্যামব্রোজ, শোয়েব আখতারদের সঙ্গে তুলনা করেছি। ওদের সামনাসামনি হওয়াটা অনেক শক্ত ছিল। ও বিশ্বমানের বোলার হয়ে উঠতে চলেছে। কিন্তু আমাদের সময়ের বোলাররা অনেক বেশি উঁচু মানের ছিল। খুব বেশি লোক এ নিয়ে তর্ক করতে পারবে না।
সামগ্রিক ভাবে ক্রিকেটের মানের পতন হয়েছে বলে দাবি রজ্জাকের। তিনি বলেছেন, বর্তমান সময়ের পেসারদের সামনে আগের মতো সমান চাপ টের পাওয়া যায় না। সব মিলিয়ে খারাপ সময় যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের। ১০-১৫ বছর আগের মতো বিশ্ব মানের ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে না। তেন্ডুলকর, জাহির, সহবাগ, গাঙ্গুলিরা একই টিমে ছিল। যে কোনও দলে ওদের জায়গা পাকা থাকত। হয়তো অতিরিক্ত টি২০ ক্রিকেট অবনমনের কারণ।