প্যারিস: অলিম্পিক্সে টেনিসে সোনা জিতেছেন নোভাক জকোভিচ। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে তীরে এসে তরী ডুবেছিল। সেদিন রাফায়েল নাদালের বিরুদ্ধে হেরে রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবার অলিম্পিক্সে শীর্ষ বাছাই হিসেবেই খেলতে নেমেছিলেন। গতকাল ফাইনালে আরেক স্প্যানিশ উঠতি সুপারস্টার কার্লোস আলকারাজের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে ম্য়াচ জিতে যান সার্বিয়ান টেনিস তারকা। একই সঙ্গে অনন্য নজিরও গড়ে ফেলেছেন সার্বিয়ান টেনিসের কিংবদন্তি।
গতকাল ফাইনালে স্পেনের কার্লোস আলকারাজ়কে স্ট্রেট সেটে ৭-৬, ৭-৬ স্কোরলাইনে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েন নোভাক। প্রথম সার্বিয়ান হিসাবে অলিম্পিক্সে টেনিসে সোনা তো জিতলেনই। পাশাপাশি প্রবীণতম খেলোয়াড় হিসাবেও অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের কৃতিত্ব করলেন নিজের নামে। পূরণ হল তাঁর কেরিয়ার গোল্ডেন স্ল্যামও। অর্থাৎ চার গ্র্যান্ড স্ল্যামের পাশাপাশি অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের কৃতিত্ব। মাত্র পঞ্চম টেনিস তারকা হিসাবে সিঙ্গলসে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। যোগ দিলেন স্টেফি গ্রাফ, আন্দ্রে আগাসি, সেরেনা উইলিয়ামস ও রাফায়েল নাদালের এলিট তালিকায়। ২১ বছর বয়সি আলকারাজ় এ মরশুমে দুই স্ল্যাম জিতেছেন। তার মধ্যে ছিল রোলঁ গ্যারোস অর্থাৎ ফরাসি ওপেনও। সেখানেই এবারের অলিম্পিক্সের টেনিসের আসর বসেছে। তাঁকে হারানো সহজ হবে না, জানতেন জকোভিচ।
জকোভিচ এর আগে উইম্বলডন খেলেছিলেন। কিন্তু ফাইনালে এই আলাকারাজের বিরুদ্ধেই হেরে গিয়েছিলেন। রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সার্বিয়ান টেনিস তারকাকে। এমনকী আগের বছর উইম্বলডনও এই আলাকারাজের বিরুদ্ধেই হেরে গিয়েছিলেন। এবার অলিম্পিক্সেও হাঁটুর চোট নিয়েই খেলতে নেমেছিলেন। জানতেন যে এটাই শেষ অলিম্পিক্স। তাই যেন তেন প্রকারে চেয়েছিলেন সোনা জিততে।
নোভাক জকোভিচ কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত ২৪টি গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছেন। তিনিই টেনিস বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের মালিক। তাঁর পরে পুরুষদের টেনিসে রাফায়েল নাদাল ২২ ও রজার ফেডেরার ২০ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। রজার অবসর নিয়ে নিয়েছেন। রাফা চোটের জন্য অনিয়মিত। তাই নিজের গ্র্যান্ডস্লামের সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার এখনও আরও সুযোগ থাকছেন জোকারের সামনে। যদিও তিনিই ৩৭ পেরিয়েছেন। আর কতদিন খেলেন, তার ওপরই সব নির্ভর করছে।