দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলায় মাটির বাড়ি ধসে মহিলার মৃত্যু। টানা বৃষ্টির জেরে চার নাবালক সন্তান-সহ এক দম্পতি আহত হন।কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় মহিলার। দম্পতির দুই সন্তান চিত্তরঞ্জন ন্য়াশনাল মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি-ভোগান্তি চলছেই। ধসের জেরে কালিম্পঙে ফের অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক। ভারী বৃষ্টির জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ধস নেমেছে কালিম্পঙে। তার জেরে উনতিরিশ মাইল এলাকায় রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ। কালিম্পং-শিলিগুড়ি রুটে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। সিকিম যাওয়ারও লাইফ লাইন দশ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই পরিস্থিতিতে লাভা এবং পনবু হয়ে ঘুরপথে চলছে যাতায়াত।
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যয় ঘনাল বাংলাতেও। রাতে ও সকালে ফের ধস নামল কালিম্পঙে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নামায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিকিম যাওয়ার রাস্তা। এরই মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার জোড়া ফলা। ধসের সঙ্গে উপড়ে নেমে এসেছে বিশাল বিশাল গাছ।বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ। ফুঁসছে নদী। রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে ঝরনার জল। বিশাল ধস নেমেছে রাস্তাতেও। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি-ভোগান্তি চলছেই।
ধসের জেরে কালিম্পঙে ফের অবরুদ্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধসের জেরে গত একমাস বন্ধ ছিল শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং যাওয়ার এই জাতীয় সড়ক। রাস্তা চালু হতে না হতে ফের ধসে যায় একাংশ। ভারী বৃষ্টির জেরে রাতে ও সকালে নতুন করে ধস নামে কালিম্পঙে। তার জেরে ২৯ মাইল এলাকায় রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কালিম্পং-শিলিগুড়ি রুটে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। সিকিম যাওয়ার লাইফ লাইন দশ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই পরিস্থিতিতে লাভা এবং পনবু হয়ে ঘুরপথে চলছে যাতায়াত।
এরই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার জোড়া ফলা। তার জেরে এদিনও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত রযেছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। দুইয়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে।
আরও পড়ুন, প্রায় ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি, প্লাবিত হাওড়া, বীরভূম-সহ একাধিক এলাকা
উত্তরবঙ্গে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পঙে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে বলে জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে। জোশীমঠের ভূমিধস চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে প্রকৃতির কাছে মানুষ কতটা অসহায়। গত বছর লোনক হ্রদ ফেটে তিস্তায় বিপর্যয়ের স্মৃতি এখনও টাটকা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।