প্যারিস: ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে চোট আঘাত জড়িয়েই থাকে। আর তার জন্যই খেলার দুনিয়ার টিকে থাকার লড়াইটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। টেনিসে দু কিংবদন্তি প্লেয়ারের সঙ্গেও তেমনটাই হচ্ছে। একজন রাফায়েল নাদাল ও আরেক জন অ্যান্ডি মারে। প্রথম জন অবশ্য সাফল্যের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে দ্বিতীয়জনের থেকে। কিন্তু গত কয়েক বছরের দুজনকেই সমানভাবে ভাবিয়েছে তাঁদের চোট সমস্যা। যার জন্য একাধিক টুর্নামেন্ট, গ্র্যান্ডস্লাম থেকেও সরে দাঁড়াতে হয়েছে নাদাল ও মারেকে। সঙ্গে বয়সও একটা কারণ। নাদাল ৩৮ ও মারে ৩৭। আর বেশিদিন হয়ত টানতে পারবেন না, ভাল মতই জানেন দুজনেই। আসন্ন প্য়ারিস অলিম্পিক্সই কি তবে শেষ বড় কোনও টুর্নামেন্ট হতে চলেছে ২ টেনিস তারকার?
দীর্ঘদিন ধরেই গ্র্যান্ডস্লামের বাইরে নাদাল। কোমড়ের নীচে চোটের জন্য কোর্টের বাইরে ছিলেন স্প্য়ানিশ টেনিস মায়েস্ত্রো। ফরাসি ওপেনে খেলতে পারেননি নাদাল। লাল সুরকির কোর্টে তিনিই এখনও সম্রাট। নিজের ২২টি গ্র্যান্ডস্লামের মধ্যে ১৪টি জিতেছেন লাল মাটির কোর্টেই। ফলে প্য়ারিস অলিম্পিক্সকেই পাখির চোখ করছেন রাফা। কিছুদিন আগে নিজেও জানিয়েছিলেন যে প্যারিস অলিম্পিক্সের পরই কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নিজের কেরিয়ার নিয়ে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাদাল বলেছিলেন, ''আমার শরীর আমার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গত ২ বছরে। এমনও হয় যে আমি সকালে একদিন উঠে আমার মনে হয় যেন সাপ আমাকে কামড়েছে। আরেক দিন মনে হয় বাঘের কামড় খেয়েছি। অদ্ভুত যন্ত্রণা অনুভূত হয়।'' উল্লেখ্য, গত বছরের শুরু থেকে অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৬টি ম্যাচেই খেলতে নামতে পেরেছেন নাদাল।
মারের ক্ষেত্রেও ছবিটা অনেকটা এমনই। ব্রিটেনের এই টেনিস তারকাই একমাত্র যিনি অলিম্পিক্সের মঞ্চে দুবার সোনা জিতেছেন। তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন যে অলিম্পিক্সের পরই হয়ত টেনিসের ব্যাট তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন। ২০১২ লন্ডন ও ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন মারে। কেরিয়ারে তিনটি গ্র্যান্ডস্লামও জিতেছেন এই ব্রিটিশ টেনিস প্লেয়ার।
এদিকে এবারের অলিম্পিক্সে টেনিসে নজর থাকলে কার্লেজ আলকারাজের ওপর। স্পেনেট এই তরুণ টেনিস তারকা ইতিমধ্য়েই চারটি গ্র্যান্ডস্লাম জিতে ফেলেছেন মাত্র একুশ বছর বয়সে। কিছুদিন আগেই সার্বিয়ান কিংবদন্তি নোভাক জকোভিচকে উইম্বলডন ফাইনালে হারিয়ে দেন তিনি। গত বছর উইম্বলডন ফাইনালেও জোকারকে হারিয়েছিলেন আলকারাজ।