মোহালি: পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নিজেদের মরসুমের প্রথম ম্যাচেই পরাজিত হতে হল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (PBKS vs KKR)। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্য়াচে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে সাত রানে পরাজিত হয় কেকেআর। ম্যাচে প্রথমবার নীতিশ রানাকে (Nitish Rana) নাইট অধিনায়কের ভূমিকায় দেখা যায়। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ নীতিশ রানার বোলিং বদল করা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন তুলেছেন।
রাসেলের চোট?
নাইট অধিনায়ক ম্যাচে মাত্র পাঁচ নিয়মিত বোলারকে দিয়েই ২০ ওভার বল করান। আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell), অনুকূল ঠাকুরদের বোলিংই করাননি রানা। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, রাসেল কি তাহলে বোলিং করার জন্য ফিট নন। ম্যাচ শেষে রাসেলকে দিয়ে বোলিং না করার সিদ্ধান্তের ব্য়খা দিলেন নাইট অধিনায়ক। তিনি বলেন, 'অনুকূলকে দিয়ে ঠিক সময়ে বল করাব ভাবছিলাম, তবে বল করানোর উপযুক্ত সময়টাই পায়নি। রাসেলের ডেথ ওভারে বল না করাটা একদমই চোটের কারণে নয়। আমার মনে হয়েছিল পাঁচ বোলারকে ব্যবহার করা উচিত, তাই করেছি। ওরা আমাদের থেকে বেশি ভাল ব্যাট করেছে এবং উইকেটটাও আমাদের থেকে বেশি ভাল বুঝতে পেরেছে।'
ম্যাচের বিবরণ
লক্ষ্য ছিল বিরাট। প্রথমে ব্যাট করে পাঞ্জাব কিংস তুলেছিল ১৯১/৫। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মনদীপ সিংহকে হারিয়েছিল কেকেআর। তিন নম্বরে চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। ইডেনে প্রস্তুতি ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা অনুকূল রায়কে নামিয়ে দিয়েছিলেন তিন নম্বরে। কিন্তু ব্যর্থ ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটার। ৫ বলে ৪ রান করে ফেরেন। রহমনুল্লাহ গুরবাজ ঝোড়ো শুরু করলেও ১৬ বলে ২২ রান করে ফেরেন।
তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা বেঙ্কটেশ আইয়ার (২৮ বলে ৩৪ রান) ও অধিনায়ক নীতীশ রানা (১৭ বলে ২৪ রান) ইনিংসের হাল ধরেন। তবে পরপর উইকেট হারিয়ে কেকেআর যখন প্রবল চাপে, তখন পাল্টা মারতে শুরু করেন আন্দ্রে রাসেল। ৩টি চার ও জোড়া ছক্কা। ১৯ বলে ৩৫ রান করে কেকেআরকে ম্যাচে ফেরান তিনি। তবে তাঁকে ফিরিয়ে নাইট শিবিরে জোরাল ধাক্কা দেল স্যাম কারান। শেষ দিকে নেমে সুনীল নারাইন ও শার্দুল ঠাকুর চালিয়ে খেলতে শুরু করেন।
একটি ৬ মেরে ৩ বলে ৮ রান করে ক্রিজে ছিলেন শার্দুল। একটি ছয় মেরে ২ বলে ৭ রান করে ক্রিজে ছিলেন নারাইন। ঠিক সেই সময়ই নামে বৃষ্টি। কেকেআর ইনিংস শুরুর আগে স্টেডিয়ামের সবকটি বাতিস্তম্ভ না জ্বলায় খেলা বন্ধ ছিল বেশ কিছুক্ষণ। ফের বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হয়। কেকেআরের স্কোর তখন ১৬ ওভারে ১৪৬/৭। ম্যাচ জিততে তখনও ২৪ বলে ৪৬ রানের প্রয়োজন ছিল। খেলা আর শুরু করা যায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে দেখা যায়, বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ১৫৩ রান করতে হতো কেকেআরকে। ৭ রান পিছিয়ে ছিল কেকেআর। তাই ৭ রানে বিজয়ী ঘোষণা করা হল পাঞ্জাবকে।
আরও পড়ুন: চোটের কারণে খেলতে পারছেন না তো কী, লখনউয়ের বিরুদ্ধে দিল্লির ডাগআউটে উপস্থিত পন্থ