ধরমশালা: প্রয়োজন ছিল ১৮.৩ ওভারে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতলেও রাজস্থান রান ১৮.৩ ওভারে ম্য়াচ জিততে পারল না। তবে প্লে অফের আশা এখনও বাঁচিয়ে রাখল সঞ্জু স্যামসনের দল। অন্যদিকে রাজস্থান ম্যাচ হেরে আইপিএলে তৃতীয় দল হিসেবে ছিটকে গেল পাঞ্জাব কিংস। এর আগে দিল্লি ক্য়াপিটালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল। এবার শিখর ধবনের দলও ছিটকে গেল। 


১৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখি মেজাজে ব্য়াটিং শুরু করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। জস বাটলার এদিন খাতা খোলার আগেই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। রাবাডার বলে আউট হন তিনি। যদিও জয়সওয়াল এদিন আরও একবার অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। তিনি ৩৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান বাঁহাতি। এরপর দেবদত্ত পড়িক্কল ৩০ বলে ৫১ রান করেন। ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। লোয়ার অর্ডারে শিমরন হেটমায়ের ২৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। রিয়ান পরাগ ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ১২ বলে ২০ রান করে ফেরেন। শেষে ৪ বলে অপরাজিত ১০ রান করে ২ বল বাকি থাকতেই রাজস্থানকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন ধ্রুব জুরেল। 


এদিন ধরমশালায় টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। পাঞ্জাব ও রাজস্থান দুটো দলের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ। শুরুতেই পাঞ্জাবের এক উইকেটের পতন। নিজের প্রথম ওভারেই নিজের বলেই ক্যাচ নিয়ে প্রভসিমরনকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখালেন ট্রেন্ট বোল্ট। নিজের বলেই অনবদ্য ক্যাচ লুফে নেন কিউয়ি পেসার। এরপর অর্থব টাইডে ও শিখর ধবন মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু অথর্বকে ফিরিয়ে দেন সাইনি।  ১৯ রান করে সাইনির বলে আউট হলেন অথর্ব টাইডে। ধবন ১৭ রান করে জাম্পার বলে লেগবিফোর হয়ে ফেরেন। এদিন ব্যাট চলেনি লিভিংস্টোনেরও। ৯ রান করে সাইনির বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। 


তবে এরপরই স্যাম কারান ও জিতেশ শর্মা মিলে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। ২ জনেই চালিয়ে খেলা শুরু করেন। কারানকে প্রচুর অর্থ খরচ করে এবার দলে নিয়েছিল পাঞ্জাব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরা পারফরম্যান্স দেখা যায়নি। এদিন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার। ৩১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান কারান। জিতেশ শর্মা ২৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। তিনটি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষদিকে শাহরুখ খানও এসে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে ২৩ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। নিজের ইনিংসে তিনিও ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান।