দুবাই: পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে দুরন্ত জয়। এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) ভারতের শুরুটা দারুণ হয়েছে। ব্যাটে-বলে সব বিভাগেই প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিয়েছে রোহিত (Rohit) বাহিনী। কিন্তু তবুও একটা প্রশ্ন সোশাল মিডিয়াতেও বারবার উঠেছে, পন্থের বদলে কেন কার্তিককে (Dinesh Karthik) একাদশে বাছা হল। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন প্রাক্তন অফস্পিনার হরভজন সিংহ (Harbhajan Singh)। তিনি মনে করেন কার্তিককে খেলানো একদম সঠিক সিদ্ধান্ত। নিজের উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন ভাজ্জি।


কী বলছেন হরভজন?


এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হরভজন বলেন, ''পন্থ নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত ক্রিকেটার। টেস্ট ও ওয়ান ডে ক্রিকেটে ও এই মুহূর্তে দলের অটোমেটিক চয়েস। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের কথা যদি বলতে হয়, তবে এখনও পুরোপুরি পারফেক্ট চয়েস পন্থ নয়। উল্টোদিকে কার্তিকের কেরিয়ার গ্রাফ এই মুহূর্তে দেখলে দেখা যাবে যে তা শুধুই ওপরের দিকে। এই মুহূর্তে ওঁকে খেলানো ছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল না। ফর্মে থাকা একজন ব্যাটারকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার কোনও মানেই হয় না।''


ভাজ্জি আরও বলেন, ''পন্থের কেরিয়ার এখনও লম্বা পড়ে রয়েছে। কিন্তু কার্তিকের জন্য হয়ত আর মাত্র ১-২ বছরই রয়েছে। আমার মনে হয় এই সময়টা ওঁর পুরোপুরি সুযোগ পাওয়া উচিত। ওঁর ফর্মটা কাজে লাগানো উচিত। লোয়ার অর্ডারে নেমে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। আগামীতেও এই কাজটি ওঁ করতে পারবে।''


উল্লেখ্য, গত আইপিএলে আরসিবির হয়ে ফিনিশারের কাজটি দুর্দান্ত সামলেছিলেন কার্তিক। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে সাদা বলের ফর্ম্যাটে কার্তিক জাতীয় দলের অংশ ছিলেন না। এরপর আইপিএলে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নির্বাচকদের বাধ্য করেছিল তাঁকে দলে ফিরিয়ে আনতে। এরপর আর কোনও সুযোগ মিস করেননি তিনি। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলেছেন। নিজেই জানিয়েছিলেন যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের জার্সিতে মাঠে নামতে চান। 


এদিকে, ভারতের কাছে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর আইসিসি-র নতুন নিয়ম নিয়ে হাহুতাশ করছেন ওয়াসিম আক্রমরা (Wasim Akram)। মনে করা হচ্ছে, এই একটি নিয়মের জন্যই ভুগতে হল বাবর আজমদের।


পাকিস্তানের ১৪৭ রান তাড়া করতে নেমে ভারত তখন বেশ চাপে। শেষ তিন ওভারে ৩২ রান বাকি। ক্রিজে রবীন্দ্র জাডেজা ও হার্দিক পাণ্ড্য। হঠাৎ দেখা গেল, বেশ উদ্বিগ্ন মুখে বাউন্ডারি লাইন থেকে একজন ফিল্ডারকে ৩০ গজের বৃত্তে ডেকে নিলেন বাবর। তারপরই যেন বদলে গেল ম্যাচের রং। ১৮ ও ১৯তম ওভারে উঠল ২৫ রান। তার মধ্যে ১৯তম ওভারে ওঠে ১৪ রান। হ্যারিস রউফকে তিনটি বাউন্ডারি মেরে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন হার্দিক।