নয়াদিল্লি: ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ কাতারে আর্জেন্তাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির (Lionel Messi) স্বপ্নপূরণ হয়। মেসির নেতৃত্বেই তৃতীয়বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় লা আলবিসেলেস্তে (Argentina Football Team)। লুসেইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে জয় পান মেসিরা। মেসির বিশ্বজয়ের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্জেন্তিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। এবার তাঁর জন্য নিজের জার্সি পাঠালেন আর্জেন্তিনা অধিনায়ক মেসি।


আর্জেন্তিনার বিশ্বজয়ের পর মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, 'এই ম্যাচটা সর্বকালের অন্যতম সেরা ম্যাচ হিসাবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য আর্জেন্তিনাকে অনেক শুভেচ্ছা। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই ওরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। ভারতের কোটি কোটি আর্জেন্তিনা ও মেসিভক্তের জন্য আজকরে দিনটা খুবই আনন্দের।' বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে এনার্জি উইক চলছে। সেখানেই এনার্জি কোম্পানির প্রধান, পাবলো গঞ্জালেস প্রধানমন্ত্রীকে উপহারস্বরূপ মেসির জার্সি দেন। 


 






নিখোঁজ চেলসি প্রাক্তনী


৭.৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প (Turkey Earthquake), তাতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল একের পর এক বাড়িঘর। তুরস্ক এং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়া বর্তমানে যেন মৃত্যপুরী। ইতিমধ্যেই খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৩,৮০০ ছাড়িয়েছে। ধ্বংস্তূপের তলায় এখনও হাজার হাজার মানুষ। সেই তালিকায় রয়েছেন ঘানার তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান আতসু (Christian Atsu)। 


চেলসি এবং নিউক্যাসল ইউনাইটেডের হয়ে অতীতে খেলার সুবাদে প্রিমিয়ার লিগ অনুরাগীদের কাছে আতসু একজন পরিচিত মুখ। বর্তমানে তিনি তুরস্কের হাতায়স্পরে খেলেন। খবর অনুযায়ী আতসুও ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েছেন। ২৪ ঘণ্টা পরও খোঁজ মেলেনি তাঁর। স্বাভাবিক আতসুর পরিস্থিতি নিয়ে ফুটবলবিশ্বের বাড়ছে উদ্বেগ। অবশ্য আরেক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে অবশেষে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর ডান পায়ে চোট রয়েছে এবং নিঃশ্বাস নিতেও তাঁর সমস্যা হচ্ছে বলে খবর। তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


সোমবার ভোরে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি উভয় দেশে অনুভূত হয়। সেই ধাক্কায় বিশাল বিশাল বহুতল ধসে পড়ে। ধ্বংস হয়ে যায় হাসপাতাল। হাজারো মানুষ ছাপা পড়ে যান।  গৃহহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাপমাত্রা রাতারাতি হিমাঙ্কের কাছাকাছি নেমে গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বা গৃহহীনদের অবস্থা আরও খারাপ করেছে আবহাওয়া । যাঁরা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন, তাঁদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া অনেকেই ঠান্ডার কামড়ে প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবল ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজও। মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে কেউ জানে না !


আরও পড়ুন: কবে শুরু মহিলাদের আইপিএল? দিনক্ষণ জানালেন আইপিএল চেয়ারম্যান