দোহা: লুসেইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্তিনা বনাম ফ্রান্স (Argentina vs France) ফাইনাল ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে খেলা চলছে। ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় আচমকাই খেলায় ট্যুইস্ট। মাত্র ৯৭ সেকেণ্ডের মধ্যে পরপর ২ গোল করে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। অতিরিক্ত সময়েও গোল করেছিলেন ফরাসি তরুণ। এমনকী ম্যাচ টাইব্রেকারে যায় তখন পেনাল্টি শ্যুটআউটেও গোল করেছিলেন এমবাপে। গোটা ম্যাচে একাই ফ্রান্সের রক্ষণকে চাপে রেখে দিয়েছিলেন প্রতি মুহূর্তে। 


চার চারটি গোল বিশ্বকাপের ফাইনালে করে ইতিমধ্যেই বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। কিন্তু তবুও ট্র্যাজিক হিরো হিসেবেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে। তবে খেলায় হারলেও হৃদয় জিতে নিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। ম্যাচের শেষে এমবাপেকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁকর। নিজের ট্যুইটারে একটি ক্লিপিংস পোস্ট করে মাঁকর লিখেছেন, ''ফায়ার ডি ভাউস'' যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় 'তোমাদের জন্য গর্বিত আমরা'।



কার্যত একপেশে এক ফাইনাল ম্যাচ একা হাতেই ফ্রান্সের পক্ষে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন বছর ২৩-র এমবাপে। ১৯৬৬ সালে জিওফ হার্স্টের ৫৬ বছর পর মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন এমবাপে। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় এমবাপের দুরন্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও লুসেইল স্টেডিয়াম থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে ফ্রান্সকে।


 







এখনই অবসর নয় মেসির


গতকাল খেতাব জয়ের পর মেসি বলেন, ''নিঃসন্দেহে আমি এটাই চেয়েছিলাম যে বিশ্বকাপ জিতে শেষ করতে। এর থেকে বেশি আর কিই বা পেতে পারি আমি। আমি ফুটবল খুব ভালবাসি। কী করতে পারি আর। দেশের জার্সিতে খেলাটা সবসময় উপভোগ করি। এই দলটার সঙ্গে থাকা সবসময় উপভোগ করি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে চাই।'' 


আর্জেন্তিনার কোচ স্কালোনি বলেন, ''পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্তিনা স্কোয়াডে মেসি থাকবেন, যদি ওঁ খেলতে চায়। ওঁর মত প্লেয়ারের কোচ হওয়াটাও ভাগ্যের ব্যাপার।'' উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে ড্যানিয়েল পাসারেল্লার অধিনায়কত্বে বিশ্বজয় করে আর্জেন্তিনা। এরপর ১৯৮৬ সালে দিয়েগো মারাদোনা ও এবার লিওনেল মেসির নেতৃত্বে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় নীল সাদা শিবির।