তিরুমালা: নিজে অবিস্মরণীয় সাফল্য অর্জন করেছেন, এবার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করতে চান। কিছুদিনের মধ্যেই নিজের ব্যাডমিন্টন ট্রেনিং অ্যাকাডেমি তৈরি করছেন পিভি সিন্ধু। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের সহায়তায় বিশাখাপত্তনমে হবে এই অ্যাকাডেমি।
শুক্রবার এ বিষয়ে সিন্ধু জানিয়েছেন, ‘আমি কিছুদিনের মধ্যেই বিশাখাপত্তনমে একটি ট্রেনিং অ্যাকাডেমি শুরু করতে চলেছি। এখানে ছোটদের খেলা শেখানো হবে। এই অ্যাকাডেমি তৈরি করতে রাজ্য সরকার সাহায্য করছে। ঠিকমতো উৎসাহ না পাওয়ার ফলে অনেক বাচ্চা ছেলে-মেয়ে পিছিয়ে পড়ছে। আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
শুক্রবার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিরুমালা মন্দিরে পুজো দিতে যান সিন্ধু। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বেঙ্কটেশ্বর স্বামীর আশীর্বাদ নিতে পেরে খুশি। আমি প্রত্যেক বছর প্রভু বালাজির আশীর্বাদ নিতে একবার করে তিরুমালায় আসি।’
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে সিন্ধু বলেছেন, ‘আমি আরও উন্নতি করতে চাই। ২০২৪-এ প্যারিস অলিম্পিক্সে নিশ্চয়ই যোগ দেব। ১০০ শতাংশ উজাড় করে দেব। নিজের সেরাটা দেব। আমার হাতে এখন অনেক সময় আছে। এখন এই মুহূর্তটা আমি উপভোগ করছি।’
২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে রুপো পেয়েছিলেন সিন্ধু। টোকিওতে তিনি ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। দ্বিতীয় ভারতীয় অ্যাথলিট এবং একমাত্র ভারতীয় মহিলা হিসেবে অলিম্পিক্সে একাধিক পদক পেয়েছেন সিন্ধু। আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে তিনিই সবচেয়ে সফল ভারতীয়। ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে তিনি মিক্সড টিমস ইভেন্টে সোনা জেতেন এবং ব্যক্তিগত বিভাগে রুপো জেতেন। ২০১৯-এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি সোনা জেতেন।
টোকিও অলিম্পিক্সে পদক জেতার পর থেকেই অভিনন্দনের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছেন সিন্ধু। তিনি ইতিহাসে নিজের নাম খোদাই কের নিয়েছেন। দেশে ফেরার পর থেকেই তিনি একের পর এক সংবর্ধনা ও পুরস্কার পাচ্ছেন। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার তাঁকে ৩০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে সিন্ধুর জন্য ২৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থাও ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বাইজুস সংস্থার পক্ষ থেকে সিন্ধুকে এক কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।